কন্যা সন্তান হওয়ায় গৃহবধূর বাপের বাড়ি থেকে কন্যার বিবাহের জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন এক লাখ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। টাকা দিতে না পারায় গৃহবধূর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ। ভাতাড় থানার রায়রামচন্দ্রপুরের ঘটনা। মৃতার নাম বৈশাখী ঘোষ মল্লিক(২৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছর আগে মঙ্গলকোটের গোতিষ্টা গ্রামের বৈশাখীর সঙ্গে বিয়ে হয় ভাতাড় রায়রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা সুবীর মল্লিকের। দেড় বছর আগে তাঁদের একটি কন্যা সন্তান হয়। বৈশাখীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকেই কন্যার বিয়ের জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করতে থাকে সুবীর ও তাঁর পরিবার। দিতে না পারায় নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয় বৈশাখীর উপর। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ১১ মার্চ সোমবার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বৈশাখী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে নতুনহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। বাপের বাড়ির তরফে শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে ভাতাড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বে জানা গেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।