ঘুর্নিঝড় যশের প্রভাবে গ্রামের রাস্তা জলমগ্ন হওয়ায় রাস্তার দাবিতে পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। ভাতাড়ের মুরাতিপুরে বাদশাহী রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে উপপ্রধানের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ।

গতকাল সন্ধ্যা থেকে ভাতাড় ব্লকে ঘুর্নিঝড় যশের জেরে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আজ সকালেও দফায় দফায় চলে বৃষ্টিপাত। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ জেলার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার জেরে জেলায় একদিকে যেমন বেশকিছু কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনই বেশ কিছু রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ভাতাড়ের মুরাতিপুর গ্রামে ফকিরডাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। ওই পাড়ার দুটি প্রধান রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এরপর গ্রামবাসীরা মুরাতিপুর এলাকায় বাদশাহী রোড অবরোধ করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভাতাড় থানার পুলিশ ও নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জুলফিকার আলি। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জুলফিকার আলির আশ্বাসে ওঠে অবরোধ। পরে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরিদর্শন করেন এবং মেরামতি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

অন্যদিকে, জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২২০ টি রিলিফ ক্যাম্পে ৯৭৪৭ জন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। জেলার ১৫৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৭৫ টি কাঁচা বাড়ি ক্ষতি হয়েছে এবং প্রায় ৪০০০ জনকে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যশের ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিল ও গ্রীষ্মকালীন সব্জি চাষ। জেলার ১২৮৯৮ হেক্টর তিল জমি, ৭১৪২ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সব্জি ও ৩৭৩ হেক্টর আখের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে প্রায় এক কোটি ষাট লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

Like Us On Facebook