দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের বিশ্রামাগার (ফাইল চিত্র)

বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় ২০১৫ সালে নির্মিত দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগীদের পরিবারবর্গের জন্য বিশ্রামাগারটি দখল করে ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক শ্রেনীর মানুষের বিরুদ্ধে। মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয়দের ব্যবহারের জন্য তৎকালিন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক অপূর্ব মুখার্জীর বিধায়ক তহবিলের টাকায় নির্মিত বিশ্রামাগারটি এখন রোগীর আত্মীয়দের বিশ্রাম করতে প্রতি ঘন্টায় ১০ থেকে ২০ টাকা গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীদের পরিবারবর্গের। তাঁদের আরও অভিযোগ প্রস্রাবের জন্য ২টাকা এবং শৌচকর্ম ও স্নান বাবদ ৫ টাকা দিতে হচ্ছে। তাছাড়া এই বিশ্রামাগার কার্যত দোকানে পরিণত হয়েছে। পান থেকে চুন সবই বিক্রি হয় এই বিশ্রামাগারে। দেখলে বোঝার উপায় নেই এটি সরকারি টাকায় নির্মিত রোগীর পরিজনদের জন্য নির্মিত একটি বিশ্রামাগার।

আসলে সরকারি নজরদারির অভাবে বিশ্রামাগারটি একটি ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। পাশেই দীর্ঘদিনের সুলভ শৌচালয়টি সংস্কারের অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই বিশ্রামাগারটিকেই কিছু মানুষ ব্যবসাস্থল বানিয়ে ফেলেছে। সুত্র মারফৎ জানা গেছে কেউ বা কারা এই বিশ্রামাগারটি মাসে দশ হাজার টাকায় মৌখিকভাবে দরপত্র ডেকে এক পার্টিকে ব্যবসা চালানোর দায়িত্ব দিয়েছে। সেই ব্যবসায়ীই বুক ফুলিয়ে বিধায়ক তহবিলের টাকায় নির্মিত রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সম্পূর্ন বিনামুল্যের ব্যবহারের জন্য বিশ্রামাগারটি এখন কর্মক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছে। প্রশ্ন করলে ওই ব্যবসায়ী বিশ্রামাগারে মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পরিবর্তে ব্যবসা চালানোর কথা স্বীকার করে প্রতি ঘন্টায় রোগীর আত্মীয়দের কাছে ১০ থেকে ২০ টাকা ভাড়া নেওয়া সহ ২ টাকা প্রস্রাব এবং ৫ টাকা স্নান ও শৌচকর্মের মুল্য নেওয়ার কথাও স্বীকার করেন। নিয়ম বর্হিভূতভাবে সরকারি হাসপাতালের বিশ্রামাগারকে ব্যবসাস্থল বানিয়ে ফেলা ও অর্থ উপার্জন করা নিয়ে প্রশ্ন করলে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা জানান, বিষয়টি সম্পূর্ণ অনৈতিক। তিনি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাসকে তলব করে অবিলম্বে বিশ্রামাগার থেকে দোকান সরিয়ে রোগীর পরিজনদের ব্যবহারের উপযোগী করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

Like Us On Facebook