পুকুরে ভাসছে টাকা! দু’হাজার, পাঁচশো, একশো ও দশ টাকার নোট। সেই নোট কুড়োতেই হুড়োহুড়ি বাসিন্দাদের মধ্যে। অনেকে আবার নোটের বান্ডিল খুঁজতে পুকুরে ডুবও দিলেন বার বার। পুকুরে নোট ভাসছে খবর রটতে বেশি সময় লাগেনি। পুকুরপাড়ে কাতারে কাতারে ভিড় করেন উৎসাহীরা। এই খবরকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেল থেকেই সরগরম পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বড়মশাগড়িয়া। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, ওই পুকুর থেকে কয়েকটি নোট পাওয়া গিয়েছে। জলে ভিজে ছিঁড়েও গিয়েছে। পুকুরে কিভাবে নোট এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, আচারের প্যাকেটে থাকা নকল টাকা। কেউ আবার বলছেন, মজা দেখার জন্যই কেউ বা কারা পুকুরে কয়েকটি নোট ছড়িয়ে দিয়েছে। পিছনে ঘটনা যাই হোক, পুকুরে ডুব দিলেই নোটের বান্ডিল মিলছে বলে খবর রটে যায় এলাকায়। সোনার বালা সহ নানান অলংকারও মিলছে বলেও গুজব রটে যায়। কিছু সময়ের মধ্যেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় পুকুরপাড়। ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। লোক নামিয়ে কিছু নোট তুলে আনে পুলিশ। খবর রটে যায় সোনা দানা, গাদা গাদা নোট পুকুরে জলের তলায় ডুবিয়ে রেখেছে দুষ্কৃতীরা। এসব ডাকাতদের কাজ বলেই মত প্রকাশ করেন পুকুরপাড়ে দাঁড়ানো অনেকেই। পুলিশ ওই পুকুরে লোক নামা নিষিদ্ধ করেছে। উৎসাহী অনেকেই রাতেও পুকুরে নেমে পড়তে পারেন। তা থেকে বিপদ ঘটতে পারে। তাই কেউ যাতে না নামতে পারেন তা নিশ্চিত করতে পুকুর পাড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে।