দুর্গাপুরের লাউদোহার নবঘনপুরে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শুক্রবার সকালে। জানা গেছে, মৃতার নাম ঝুমা হাজরা। শুক্রবার সকালে শ্বশুর বাড়িতে ঝুমাদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঝুমাদেবীর বাবার বাড়ির অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঝুমাকে মেরে ঝুলিয়ে দেয়েছে। অভিযোগ পেয়ে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুমাদেবীর স্বামী ও এক আত্মীয়কে আটক করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে এবং পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয় লাউদোহার কুচডিহি গ্রামের ঝুমা বাগদির সঙ্গে লাউদোহার নবঘনপুরের হাজরা পাড়ার সুরজিৎ হাজরার। মৃত ঝুমাদেবীর বাবার বাড়ির অভিযোগ, প্রেম করে বিয়ে হলেও সুরজিৎ বিয়ের পর থেকেই ঝুমার উপর শারীরিক অত্যাচার চালাত। ঝুমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনও নানা অছিলায় ঝুমার উপর নির্যাতন চালাত। কিন্তু প্রতিবারই অশান্তির খবর পেয়ে ঝুমার পরিবারের লোকজন সুরজিৎ হাজরার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে দিত বলে জানা গেছে। ঝুমাদেবীর মা শীলা বাগদি বলেন, ‘এবার দুর্গা পুজোয় ঝুমা আমাদের বাড়ি এসেছিল। সেখান থেকে ফেরার পর শুক্রবার সকালে শ্বশুর বাড়িতে ঝুমার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। জামাই সুরজিৎ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঝুমাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।’ ঝুমাদেবীর মা ও বাপের বাড়ির লোকজন ঝুমার খুনিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন পুলিশের কাছে।