কোন অসাধু চক্রের চক্রান্তে মাত্র চার মাস আগে যোগ দেওয়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে (বিএমওএইচ) সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন সাধারণ গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি অবিলম্বে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বদলির নোটিস প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন। রাজ্যজুড়ে যখন একের পর এক ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় স্তুপিকৃত হচ্ছে তখন একজন ডাক্তারের বদলি রুখতে গ্রামবাসীদের এই আন্দোলনে নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
গত ৩ আগষ্ট ভাতারের বিজিপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গলসির পুরষা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিএমওএইচ পদে যোগ দেন বর্তমান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ফারুক হোসেন। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসার পরপরই তিনি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পুরানো নানা নিয়ম ও অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে নতুন করে কিছু নিয়ম চালু করেন। যার ফলে চিকিৎসার জন্য আসা সাধারণ গ্রামবাসীরা প্রভূত উপকার পান বলে দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এমনকি ওষুধের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় যে ওষুধ সচরাচর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিলত না তারও সুব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া অনেক সময়ই দামী দামী ওষুধ লিখে দেওয়ার ফলে চরম হয়রানির শিকার হতে হত রোগীর পরিজনদের বলে অভিযোগ। সর্বোপরি মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টটেটিভদের ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রবেশ সবকিছুর উপরই কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। লাগিয়ে দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বোর্ডও। অভিযোগ, এর ফলেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে এক অসাধু চক্র।
স্থানীয় বাসিন্দা ইমরান মল্লিক জানান, এর আগে এখানে এসে কোন রকম পরিষেবা তো দূরে থাক উল্টে হয়রানির শিকার হতাম। ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধিদের দীর্ঘ লাইনে আমরা রোগী নিয়ে গিয়ে ডাক্তারবাবুর সঙ্গে দেখা করতেই সময় কেটে যেত। এখন এই ডাক্তারবাবু এসে সেসব বন্ধ করে দেওয়ার জন্যই ওনাকে তাঁদের কোপে পড়তে হচ্ছে। তবে আমরাও এর শেষ দেখে ছাড়ব। একই কথা গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দাদেরও।