বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে খড়ি নদী, জলের তোড়ে যেকোন মুহূর্তে ভেসে যেতে পারে মাছ ধরার নৌকা। জীবনজীবিকা রক্ষার তাগিদে বিপদকে উপেক্ষা করেই নৌকা আনতে জলে নামেন ভাতাড়ের পারহাট দাসপাড়ার বাসিন্দা ফড়িং দাস ও কর্ণধর দাস। কিন্তু জলের তোড়ে নৌকা তো দূর অস্ত নিজেরাই খড়খুটোর মতো ভেসে যেতে শুরু করেন। জীবনরক্ষার্থে কোন রকমে দু’জনই আশ্রয় নেন গাছে। দীর্ঘক্ষণ গাছে আটকে দু’জনে যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন তখন নদীতে আরও জল বাড়ছে দেখে তাঁদের উদ্ধার করতে যান গ্রামেরই উত্তম দাস ও শ্রীকান্ত দাস নামে আরও দু’জন। কিন্তু তাঁরাও কার্যত ব্যর্থ হয়ে একই গাছে আশ্রয় নেন। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর স্থানীয়দের নজরে বিষয়টি আসতেই তাঁরা ভাতাড় থানার পুলিশকে খবর দেন। ভাতাড় থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতরের সহযোগীতায় তাঁদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।

জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতরের আধিকারিক প্রতীক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে চার জনকেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে মেমারীর গন্তার খাসপাড়ায় বেহুলা নদী তীরবর্তী এলাকায় মধ্যরাতে আটকে পড়ে একটি আদিবাসী পরিবার। মেমারী থানার কাছে খবর আসতেই সাঁতার কেটে নদী পেরিয়ে পরিবারটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন মেমারী থানার এএসআই দীপক পাল। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এসডিপিও সদর সাউথ অভিষেক মন্ডল জানান, এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় গভীর রাতে একটি আদিবাসী পরিবার আটকে আছে এই খবর আসার পর ঘটনাস্থলে যায় মেমারী থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতরকে। কিন্তু পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় তাঁদের আসতে কিছুটা দেরী হচ্ছিল, উল্টোদিকে নদীর জল ক্রমশ বাড়ছিল, তাই পরিবারটির বিপদের কথা ভেবে সময় নষ্ট না করে নিজেই নদী সাঁতরে পার হয়ে পরিবারটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন এএসআই দীপক পাল।

Like Us On Facebook