দুর্গাপুরের কাঁকসা ব্লকের অন্তর্গত গোপালপুর পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম ফারাকি ডাঙাকে রাজ্য সরকার আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে গ্রাম উন্নয়নের কাজ শুরু করল স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন কার্যালয়। প্রাচীন গ্রাম ফারাকি ডাঙায় প্রায় দু’শো গ্রামবাসীর বাস‌। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই চাষবাসের উপর নির্ভরশীল। গ্রামের মানুষ একফসলি জমির ফলনের উপরই জীবিকা নির্বাহ করেন।

গ্রামে ঢোকার মুখে পাকা রাস্তার বাঁক দেখা গেলেও ফারাকি ডাঙা এখনও রাঙা মাটির দেশ। কাঁচা রাস্তার উপর দিয়েই মানুষের চলাচল। বর্ষাকালে অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ফারাকি ডাঙায় চাষের জন্য সেচের জলের প্রয়োজনীয় অভাব এখনও রয়েছে বলে দাবি গ্রামের মানুষের। প্রয়োজনীয় সেচের জল ও বিকল্প চাষের সরকারি সুযোগ-সুবিধা সহ আর্থিক সাহায্য এখনও না মেলায় গ্রামের মানুষ সারা বছর এক ফসলি জমির ফলনের উপরই নির্ভরশীল হয়ে আছেন। পানাগড় সেনা ছাউনি থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে ফারাকি ডাঙা গ্রাম অবস্থিত হওয়ায় সেনা ছাউনির নিরাপত্তার প্রশ্নে নিজেদের পৈতৃক ভিটে থেকে উচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কায় থাকেন বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা।

কাঁকসার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ফারাকি ডাঙা গ্রামটিকে মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে। পরের আর্থিক বছরে ফারাকি ডাঙার উন্নয়ন আরও বিস্তারিত ভাবে দেখা যাবে। ফারাকি ডাঙা গ্রামটিকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। গ্রামের সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন করা হবে। গ্রামের মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া গ্রামের উন্নয়ন ঘটাতে গ্রামে পাকা রাস্তা, চাষে সেচের ব্যবস্থা করে ধান ও বিকল্প চাষের ব্যবস্থা করা, পুকুরে মৎস্য চাষে উৎসাহ দান, শৌচাগার নির্মাণ সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’



Like Us On Facebook