স্থানীয় ক্লাবের পুজোয় দাবিমতো চাঁদা না দেওয়ায় এক শিক্ষিকার পরিবারকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের একটি ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শিক্ষিকার স্বামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। থানা শিক্ষিকার অভিযোগ না নিয়ে সমঝোতার পরামর্শ দিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর গোটা পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুরের মেনগেট লিঙ্ক পার্ক এলাকায় পূজা চট্টোপাধ্যায় নামে এক গৃহ শিক্ষিকা তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ছেলে অনিকেত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন। অভিযোগ, লিঙ্ক পার্কের স্থানীয় প্রান্তিক ক্লাবের পুজো উপলক্ষে দুর্গাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পারিষদ লাভলি রায়ের স্বামী কমলেন্দু রায় সহ ক্লাবের সদস্যরা শিক্ষিকা পূজা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ৭০০ টাকা চাঁদা চাইতে গেলে পূজাদেবীরা সেই বিশাল পরিমাণ টাকা চাঁদা দেওয়ার অক্ষমতার কথা জানালে ক্লাবের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে পূজাদেবীসহ তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎবাবু ও তাঁর ছেলেকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পূজাদেবীর ছেলেকে ফের রাস্তায় ফেলে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শিক্ষিকা পূজা চট্টোপাধ্যায়ের।

আহত স্বামী বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ছেলেকে মারধরের অভিযোগ স্থানীয় ওয়ারিয়া থানায় জানাতে গেলে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক পূজাদেবীর অভিযোগ না নিয়ে সমঝোতা করার পরামর্শ দেয় বলে অভিযোগ শিক্ষিকা পূজা চট্টোপাধ্যায়ের। এরপরেই হতাশ পূজাদেবী আহত স্বামী ও ছেলেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। পূজাদেবীর স্বামী বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আঘাত গুরুতর বলে জানা গেছে। পূজাদেবীর ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে কমলেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পূজাদেবী ও বিশ্বজিৎবাবুর সঙ্গে অন্য লোকদের টাকা পয়সা নিয়ে নিজস্ব ঝামেলা বলে স্বামীর বিরূদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ এড়ালেন কাউন্সিলর লাভলি রায়। বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় একজনের কাছে টাকা ধার নিয়েছিলেন, সেই টাকা ফেরৎ চাওয়াকে কেন্দ্র করেই ঝামেলা বলে জানান লাভলি রায়। তিনি আরও বলেন, ‘পূজা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী বিজেপি করেন, তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছেন।’ লাভলি রায়ের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর স্বামীর কোন যোগ নেই।


Like Us On Facebook