২০১২ সালের পর ফের দুর্গাপুর নগর নিগমে ভুয়ো ট্রেড লাইসেন্স চক্রের হদিস মিলল। ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে দুর্গাপুরের মেয়র অপূর্ব মুখার্জী ট্রেড লাইসেন্সের দুর্নীতি চক্র পাকড়াও করেছিলেন। এতদিন বন্ধ থাকার পর ট্রেড লাইসেন্সের দুর্নীতি চক্র যে আবার সক্রিয় হয়েছে তার প্রমাণ মিলল। দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট সংলগ্ন এলাকার বিশ্বজিৎ কর্মকার নামে এক ব্যক্তি কয়েকদিন আগে তাঁর ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করতে এলে ট্রেড লাইসেন্সটি যে জাল তা ধরে ফেলে ট্রেড লাইসেন্স দপ্তর। ওই ব্যাক্তির নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এই খবর চাউর হতেই দুর্গাপুর নগর নিগমে চ্ঞ্চল্য ছড়ায়। প্রমাণ হয় ফের সক্রিয় হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স দুর্নীতি চক্রটি। অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন, ‘আমি ট্রেড লাইসেন্সটি নিজে না গিয়ে অপরকে দিয়ে করিয়েছি। এর জন্য ৬০০০ টাকাও দিয়েছি ওই ব্যক্তিকে। এখন ট্রেড লাইসেন্সটি রিনিউ করতে এসে জানতে পারলাম আমার ট্রেড লাইসেন্সটি জাল।’ এদিকে নিজের সই জাল হওয়ায় হতবাক দুর্গাপুর নগর নিগমের কমিশনার কস্তুরি সেনগুপ্ত। মেয়র অপূর্ব মুখার্জী বলেন, ‘সর্ষের মধ্যেই যে ভূত আছে তা অস্বীকার করার উপয় নেই। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বিষয়টি তদন্তের জন্য।”