গত দু’দিন ধরে পূর্ব বর্ধমানের গলসি হয়ে আউসগ্রাম জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি হাতির দল। বনদফতর সূত্রে জানা গেছে, হাতির দলটিতে মোট ৪৯ টি হাতি রয়েছে। যার মধ্যে ৭টি বাচ্চা হাতি। ৫টি দাঁতাল হাতি, বাকি সব কটি স্ত্রী হাতি। শনিবার সকাল থেকে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির জন্য হাতির দলটিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হয় হাতির দলকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরানোর কাজ। তবে শনিবার আউসগ্রামের প্রতাপপুরের জঙ্গলে রয়েছে হাতির দলটি। জঙ্গলটি হুলা পার্টির কর্মীরা ঘিরে রেখেছেন। হাতিগুলিকে শনিবার আউসগ্রাম জঙ্গল থেকে কাঁকসার জঙ্গল হয়ে বাঁকুড়ায় ফেরানোর পরিকল্পনা ছিল বনদফতরের, কিন্তু নিম্নচাপের জেরে সেই কাজ ব্যাহত হয়। ড্রোনের সাহায্যে জঙ্গলে হাতির দলের উপর নজরদারি চালাচ্ছে বনদফতরের কর্মীরা।
অপরদিকে, গত দু’দিন ধরে হাতির তাণ্ডবে যে পরিমাণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে সেই সমস্ত এলাকার কৃষকরা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। বনদফতর সূত্রে জানা গেছে ক্ষতিপূরণের টাকা কৃষকদের দেবে বনদফতর। নিম্নচাপ সরে গেলেই ফের হাতির দলটিকে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের জঙ্গলে ফেরানোর কাজ শুরু হবে। বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় দু’দশক ধরে প্রায় প্রতিবছরই খাবারের খোঁজে বাঁকুড়ার বড়জোড়া জঙ্গল থেকে দামোদর নদ পার করে গলসি এলাকায় ঢুকে পড়ে হাতির দল। তবে এতদিন হাতির দল এলাকায় ঢুকলেও কখনও এত বড় সংখ্যায় হাতির দল এই এলাকায় ঢোকেনি। স্বাভাবিক ভাবে হাতির দলটিকে ফের বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরৎ পাঠাতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বন কর্মীদেরও। একদিকে এতো বড় হাতির দল তার উপর মাঠে ধান থাকায় বিশেষ পরিকল্পনা করেই এগোতে চাইছেন বন কর্মীরা।