দুর্গাপুর মহকুমায় শবদাহের জন্য দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক চুল্লি হতে চলেছে কাঁকসার কুলডিহার কুনুর ব্রিজের পাশে। চলছে তারই পরিকল্পনা। রাজ্য সরকারের অনুপ্রেরণায় এবং দুর্গাপুর নগর নিগমের উদ্যোগে কয়েক দশক আগে বীরভানপুরে তৈরি হয়েছিল বৈদ্যুতিক চুল্লি। দুর্গাপুর মহকুমায় একটিমাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে বীরভানপুর মহাশ্মশানে। শুধু দুর্গাপুর মহাকুমাই নয়, এই শ্মশানের উপর নির্ভরশীল বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। কখনও কখনও বিকল হয়ে পড়ে সেই চুল্লি। তীব্র সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় শব দেহ নিয়ে আসা শবযাত্রীদের। দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানে করোনা পরিস্থিতির সময় থেকে করোনা আক্রান্তদের দেহও দাহ করা হয়। পাশাপাশি সাধারণ মৃতদেহ দাহ করা হয়। ওই শ্মশানে চাপ বেড়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক প্রদীপ মজুমদারের উদ্যোগে গড়ে উঠতে চলেছে কুনুর ব্রিজের পাশে দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক চুল্লি। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে কুলডিহার কুনুর নদীর পাশে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিধায়ক হওয়ার এক মাসের মধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন উন্নয়নের কাজ। কুলডিহার কুনুর ব্রিজের পাশে রয়েছে একটি শ্মশান। কিন্তু নেই কোন বৈদ্যুতিক চুল্লি। ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় শব দেহ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের। ঝড় বৃষ্টি হলেও তীব্র সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়, নেই কোন বিদ্যুতের ব্যবস্থা যার জন্য অন্ধকারে ঢেকে যায় সন্ধ্যার পর ওই শ্বশান চত্বর। সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হবে বৈদ্যুতিক চুল্লি। বৈদ্যুতিক চুল্লি বসলে সমস্যা সমাধান হবে বলেও আশাবাদী। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের ইঞ্জিনিয়াররা সোমবার দুপুরে পরিদর্শন করেন ওই এলাকা। প্রায় চার বিঘা জমির ওপর তৈরি হবে শ্মশান। তৈরি হবে শবযাত্রীদের বসার জায়গা। উপকৃত হবেন মলানদিঘি গোপালপুর অঞ্চল সহ দুর্গাপুর পুরসভার বেশ কিছু এলাকা। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখার্জী জানিয়েছেন বৈদ্যুতিক চুল্লি করার পরিকল্পনা চলছে। পাশাপাশি তৈরি হবে বসার জায়গা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে, হবে পানীয় জলের ব্যবস্থা। দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক প্রদীপ মজুমদারের কথামতো এদিন জমির মাপজোপ করেন ইঞ্জিনিয়াররা।