সরকারী আবাসনে এক পেয়ে এক বৃদ্ধাকে খুন করার ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হল বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুলের সরকারী আবাসনে। মৃতার নাম বাসবী ব্যানার্জি (৫৯)। মৃতের ছেলে চন্দন ব্যানার্জী কলকাতার একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকরি করেন। বাবা সোমনাথ ব্যানার্জী বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মী ছিলেন। সেই সুবাদেই তাঁরা আবাসন পান বড়শুলে। প্রায় ৭ বছর আগে তিনি মারা যান।
চন্দনবাবু জানিয়েছেন, তাঁর এক দিদি স্কুলে চাকরি করেন, অন্যত্র থাকেন। প্রতিদিনই তিনি সকাল ৮টা নাগাদ অফিসের কাজে বেড়িয়ে যান। যথারীতি বুধবার সকালেও তিনি বেড়িয়ে যান। এরপরে তিনি রাত্রি ৮টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে তিনি দরজা ঠেলতেই দেখেন দরজা খোলা। ভেতরে গিয়ে দেখেন তাঁর মা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। এরপরই তিনি বন্ধু বান্ধবদের খবর দেন। চন্দনবাবু জানিয়েছেন, প্রথম অবস্থায় মাকে দেখে তাঁর মনে হয়েছিল তিনি বিদ্যুতের শক খেয়েছেন। কিন্তু পরে দেখেন মায়ের মুখ দিয়ে রক্ত বেড়িয়েছে।
এদিকে, কিভাবে এই খুনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই বর্ধমান থানার আই সি ও শক্তিগড় থানার পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। চন্দনবাবু জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের শরীরে থাকা সোনার গহনা ছাড়া অন্য কোন কিছু খোয়া যায়নি। তবে ঘরের টেবিলে নির্দিষ্ট চায়ের কাপ থাকায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহ বাসবীদেবীর পরিচিত কেউই বাড়িতে এসেছিলেন। তার সঙ্গে বসে চাও খান তিনি। কারণ টেবিলে দুটি চায়ের কাপ ছিল। যার মধ্যে একটি চায়ের কাপ সাধারণত বাইরের কেউ আসলে ব্যবহার করা হত। তবে খুনী কে তা নিয়ে রীতিমত ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, খুনি বাসবীদেবীর পূর্ব পরিচিত। খুনের মোটিভ সম্পর্কেও অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আদপেই দুষ্কৃতীরা কজন ছিল বা চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে বাসবীদেবীর গায়ে থাকা গহনা নিয়ে তারা পালিয়ে গেলেও বাড়ির অন্যান্য জিনিস চুরি না যাওয়ায় তীব্র ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।