ব্যবসা বাড়াতে এবার সস্তায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে ডিভিসি। একইসঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও সংযোগ দেবে তারা। প্রতিযোগিতার বাজারে লাভ বাড়াতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। ইউনিট পিছু গড়ে ৪.৮০ টাকা দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে ডিভিসি। ডিভিসির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে এতদিন অন্য সংস্থা তা সরবরাহ করত এই সব ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থায়। ফলে বেশি দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কিনতে হত শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে। এবার সরাসরি ডিভিসি বিদ্যুৎ দেবে। দাম কম পড়বে। পাশাপাশি, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ পাঞ্চেত ও মাইথনে ২০০০ মেগাওয়াটের সোলার প্ল্যান্ট বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
এতদিন পর্য্যন্ত ৫০০ কেভির বেশি প্রয়োজন পড়ে এমন বড় শিল্পকে সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগ দিত ডিভিসি। এবার ১১ কেভি চাহিদাযুক্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও বিদ্যুৎ সরবরার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। প্রয়োজনে আরও কম চাহিদা সম্পন্ন শিল্পে ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সংযোগ দেওয়া হবে। আগামি দিনে বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়ারও চিন্তাভাবনা আছে ডিভিসির।
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে বর্তমানে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৩০০। যা শুধুমাত্র বড় শিল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই সব সংস্থা থেকে বছরে ৭০০ কোটি টাকা আয় হয় ডিভিসির। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ডিভিসি ১০০ কোটি টাকারও বেশি লাভ করেছে। নিজেদের ব্যবসার প্রসারে ও এই দুই রাজ্যে শিল্প উন্নয়নে হাত বাড়াতে এই সব পদক্ষেপ করছে তারা। একইসঙ্গে গ্রাহক পরিষেবা বাড়ানো ও পুরানো গ্রাহকদের ধরে রাখাও লক্ষ্য ডিভিসির।
শুক্রবার বর্ধমানে সাংবাদিক সন্মেলন করেন দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসির আধিকারিকরা। বর্ধমান ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ সরবরাহ মেলারও আয়োজন করে ডিভিসি। এর আগে আরও তিন জায়গায় মেলা করেছে তারা।
বর্তমানে ৭ টি তাপবিদ্যুৎ ও ৩ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ৬৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ডিভিসি। এই বিদ্যুৎ তারা ৩০০ টি বড় শিল্প সংস্থাকে বিক্রি করে। এবার গ্রাহক সংখা বাড়াতে ছোট ও মাঝারি শিল্পে কম খরচে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। বাণিজ্যিক সংস্থাকেও বিদ্যুৎ দেবে তারা। ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, অন্য সংস্থা গুলির থেকে বিদ্যুতের দাম তারা কম রেখেছে। প্রতিযোগিতার বাজারে গ্রাহক টানতে তাদের এই পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ মেলাগুলিতেও ভাল সাড়াও মিলছে। এদিন বর্ধমানে ৩৯ জন ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী এই মেলায় অংশ নেন বলে জানিয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ।