দুয়ারে ভ্যাকসিন থেকে দুয়ারে পানীয় জল – একগুচ্ছ নাগরিক পরিষেবা দিতে এগিয়ে এল বর্ধমান পুরসভার নয়া পৌর প্রশাসক বোর্ড। শুক্রবার থেকে বর্ধমান পুরসভা দুয়ারে ভ্যাকসিন দিতে মোবাইল ভ্যান চালু করল। বর্ধমান পুরসভার সহ-প্রশাসক আইনুল হক জানিয়েছেন, ১৮ বছরের উর্ধে যে সমস্ত সাধারণ নাগরিক টিকা পায়নি চলতি সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান শহরের ১০টি টিকাকেন্দ্র করা হয়েছিল, এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১টায়। যদি আরও প্রয়োজন হয় তাঁরা ক্যাম্প বাড়াবেন। তিনি জানিয়েছেন, যাঁদের বয়স সত্তরোর্ধ এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই মোবাইল ভ্যান তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টিকা দেবে। প্রথম দফায় শুক্রবার এই মোবাইল ভ্যান থেকে কুড়ি জনকে টিকা দেওয়া হয়। শনিবার থেকে ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে বলে তিনি জানান। এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রশাসক প্রণব চ্যাটার্জী সহ পৌরসভার আধিকারিকরাও।

অন্যদিকে, অম্রূত প্রকল্পের অধীনে কয়েক বছর ধরেই বর্ধমান শহরের সাতটি কেন্দ্রে জল ট্যাঙ্কের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছায়নি। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর পৌরসভার প্রশাসক বোর্ড এব্যাপারে তৎপর হল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের টিকরহাটের জল ট্যাঙ্ক এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে পরীক্ষামূলক সব ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। একইসঙ্গে পৌরসভার প্রান্তিক বিয়ে বাড়ির জল ট্যাঙ্কের হাল হকিকৎও এদিন খতিয়ে দেখেন পৌর প্রশাসক প্রণব চ্যাটার্জী সহ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা। পৌরসভার প্রশাসক প্রণব চ্যাটার্জী জানান, মানুষের দুয়ারে জল অনেক আগেই পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বেশ কিছু অসাধু বালি মাফিয়ার বেআইনিভাবে বালি তুলে নেওয়ার ঘটনায় জলস্তর নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রায় ৯ কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। এজন্য যেমন খরচ বেড়েছে তেমনই সময়ও অনেকটা বেশি লাগছে। পৌরসভার সহ-প্রশাসক আইনুল হক জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি পুরসভা এলাকায় মানুষের দুয়ারে জল পৌঁছে দেওয়া হবে।

Like Us On Facebook