কাশ্মীর, লে ও লাদাখ বেড়াতে গিয়ে জোজিলা পাশের কাছে ধসের কবলে পড়ে দুর্গাপুরের প্রায় ২৩ জন পর্যটক আটকে রয়েছেন। দুর্গাপুরের বেনাচিতির সুভাষ পল্লীর মাইকেল সরণীর ৬ নম্বর স্ট্রিটের ৮ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী নির্মল চৌধুরী সপরিবারে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে ২১ মে কাশ্মীর রওনা হন। ২২ মে তাঁরা শ্রীনগর পৌঁছান। লে-লাদাখের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে ফেরার পথে জোজিলা পাশের ধসে নির্মল বাবুদের গাড়ি আটকে পড়ে। নির্মল চৌধুরীর ছোট ছেলে শুভঙ্কর চৌধুরী বাড়িতেই আছেন। শুভঙ্কর চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নির্মলবাবুদের বাড়ি ফেরা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
জোজিলা পাশের কাছ থেকে বর্ধমান ডট কম কে ফোনে নির্মল চৌধুরী বলেন, আমরা দুর্গাপুরের ২৩ জন রাস্তায় আটকে রয়েছি। বাচ্চা, বৃদ্ধ সকলেই রয়েছেন গাড়িতে। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। শুক্রবার সকালে ফেরার ফ্লাইট। জানিনা কি ভাবে বাড়ি পৌঁছাবো। নির্মলবাবু বর্ধমান ডট কমকে আরও বলেন, এখানে পানীয় জল, খাবার কিছুই পাচ্ছি না। চরম দুশ্চিন্তায় আছি আমরা। এখানের প্রশাসনের কোন সহযোগিতা নেই আমাদের সঙ্গে। তবে আপনাদের সহযোগিতায় দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা আমাকে ফোন করেছিলেন। শুনলাম প্রশাসনের তরফে এখানের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু আমারা যে তিমিরে আটকে ছিলাম সেই তিমিরেই রয়েছি।
খবর সংগ্রহ করা পর্যন্ত জানা গেছে নির্মল বাবুরা জোজিলা পাশ থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে রয়েছেন। কেবলমাত্র নির্মল চৌধুরী ও তার বন্ধু-বান্ধবরা ছাড়া দুর্গাপুরের আর কোন পর্যটক কাশ্মীরে আটকে রয়েছেন কিনা সেই তথ্য এখনও জানা যায়নি।
দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন, আমরা জেলাশাসকের মাধ্যমে বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি কাশ্মীরে আটকে পড়া পর্যটকদের সহায়তা করার জন্য। মহকুমাশাসক বলেন, রাজ্যের প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছেন কাশ্মীরে প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।