ডিপিএলে কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীদের পোষ্যদের চাকরির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ ২৪ দিনে পড়ল। ডিপিএলের মেনগেটের পাশে গত ২৪ দিন ধরে মৃত কর্মীদের গোটা পরিবার চাকরির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই পরিবার বাঁচাতে এই আন্দোলনে সামিল। গত কয়েক দিন ধরে আমরণ অনশনে বসার পর বিক্ষোভকারীরা প্রশাসন ও ডিপিএল কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া না পেয়ে আন্দোলনকে গতি দিতে মঙ্গলবার ডিপিএলের মেন গেটের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন এর ফলে বেশ কিছুক্ষন ডিপিএলের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই খবর পেয়ে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ দুর্গাপুর মহকুমাশাসককে জানালে মহকুমাশাসক তড়িঘড়ি ডিপিএল মেন গেটে পৌঁছে যান। একই সঙ্গে কোকওভেন থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বিক্ষোভকারীদের ডিপিএলের বর্তমান অবস্থা ও পোষ্যদের চাকরির বিষয়টি যে প্রসেসিং-এর মধ্যে রয়েছে সে কথাটি বুঝিয়ে চাকরির বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে দেখার পুনরায় আশ্বাস দিলে অনশনকারীরা অনশন প্রত্যাহার করেন এবং মহকুমাশাসকের অনুরোধ রেখে অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করতে পাঠান। এর পরই বিক্ষোভকারীরা ডিপিএলের মেনগেট থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিয়ে ডিপিএলের মেন গেটের পাশে ফের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলন শুরুর প্রথম দিকে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক থেকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সভাপতি উত্তম মুখার্জী সহ দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল-এর আশ্বাসের পরও গত ২৪ দিনে পোষ্যদের চাকরির বিষয়ে একচুলও অগ্রগতি হয়নি। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও ডিপিএলের পোষ্যদের চাকরির বিষয়টি জেনেও ডিপিএল লোকসানে চলায় সেই ভাবে পোষ্যদের কাজে নিয়োগ করতে পারছেন না বলেই সূত্রের খবর।
এদিকে ডিপিএলের মৃত কর্মীদের পোষ্যরা চাকরির দাবিতে টানা অবস্থান বিক্ষোভ করার পর প্রশাসন ও ডিপিএল কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া না পেয়ে গত কয়েকদিন ধরে আমরণ অনশনে বসেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার আন্দোলনের গতি বাড়াতে আন্দোলনকারীরা ডিপিএলের মেন গেটে অসুস্থ অনশনকারীদের গেটের সামনে শুইয়ে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে দেন। এর পরই নড়ে চড়ে বসে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ, মহকুমাপ্রশাসন ও পুলিশ কর্তারা। ডিপিএল মেনগেট অবরুদ্ধ হওয়ায় সকলেই ছোটেন ডিপিএলের মেনগেটে।