মাত্র ১৭০০ টাকার জন্য এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক মুদির দোকানদারের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানার দক্ষিণশুড়া গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম ঝণ্টু কর্মকার (৪৫)। তিনি একটি আসবাবপত্রের দোকানের কর্মী ছিলেন। মৃতের কাকা গৌরাঙ্গ কর্মকার জানিয়েছেন, জামালপুর চকদিঘীর শুঁড়ে কালনা গ্রামের এক মুদির দোকানে মালপত্র কিনতেন ঝণ্টু কর্মকার। সম্প্রতি ওই দোকানে মালপত্রের জন্য ঝণ্টু কর্মকারের প্রায় ২২০০টাকা ধার হয়। কিন্তু ১ বৈশাখ দোকানের হালখাতাতে তিনি পুরো টাকা শোধ না করায় দোকানদার তাঁকে চাপও দেন। এরপর কয়েকদিন আগে তিনি ৫০০ টাকা ধার শোধও করেন। এরপর বাকি টাকার জন্যও দোকানদার চাপ দিতে থাকে। কয়েকদিন আগে তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হওয়ায় এবং ঝণ্টু কর্মকারকে ব্যাপক গালিগালাজ করায় ঝণ্টু কর্মকারের দাদা পিণ্টু কর্মকার মধ্যস্থতা করে তিনি বাকি টাকা শোধ করে দেবার প্রতিশ্রুতিও দেন ওই দোকানদার ধনঞ্জয় অধিকারীকে। কিন্তু তারপরে গত ২মে রাত্রে ধনঞ্জয় অধিকারী ফের ঝণ্টু কর্মকারের কাছে টাকা চাইতে যান। সেই সময় দুজনের মধ্যে বচসাও হয়। এরপরই ধনঞ্জয় অধিকারী লোকজন নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধোর করে ঝণ্টু কর্মকারকে। এরপর অচৈতন্য অবস্থায় তাকে গ্রামের ধারে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। ৩ মে ভোরে গ্রামের মানুষ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তাকে বাড়িও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর তিনি আরও অসুস্থ হওয়ায় প্রথমে তাঁকে বর্ধমানের একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে এবং পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বুধবার রাত্রে তাঁর মৃত্যু হয়। গৌরাঙ্গবাবু জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ওই দোকানদারের বিরুদ্ধে জামালপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।
Like Us On Facebook