দুটি ঋণদানকারী সংস্থার কর্মীদের ক্রমাগত চাপ সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামী-স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুল দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামে। মৃতদের নাম হেমন্ত মালিক (৬৫) ও রেখা মালিক (৫৫)। মৃতের বড় ছেলে সনাতন মালিক জানিয়েছেন, তাঁর ভাই রমেশ মালিক ব্যবসা করার নাম করে তাঁর বাবা ও মাকে দিয়ে দুটি সংস্থা থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়ায়। এরপরই ওই টাকা নিয়ে সে বাবা-মাকে ছেড়ে চলে যায়। এদিকে ঋণ শোধের জন্য ক্রমাগত চাপ আসতে থাকে তাঁর বাবা ও মায়ের কাছে। সনাতন মালিক জানিয়েছেন, ঋণের টাকা শোধ করতে বাড়ি বিক্রি করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বাবা-মাকে। তিনি জানিয়েছেন, এই চাপের জন্য মঙ্গলবার তাঁর মা ও বাবা মামার বাড়ি জামালপুরে চলে যান। কিন্তু সেখানেও পৌঁছে যায় পাওনাদার সংস্থার কর্মীরা। সনাতন দাবী করেছেন, মামার বাড়িতে গিয়ে ওই ঋণপ্রদানকারী সংস্থার কর্মীরা তাঁর মায়ের হাত ধরে টানাটানি করে। এমনকি তাঁদের ২ জনকেই সেখান থেকে জোর করে নিয়ে চলে আসেন গোপালপুরে। এরপর তাঁদের ওপর বাড়ি বিক্রি করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আর এই চাপ সহ্য করতে না পেরেই বুধবার রাতে তাঁর বাবা ও মা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন সনাতন। এদিকে, এই ঘটনায় গোটা এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলির ঋণ আদায়ের এই প্রক্রিয়া নিয়েও সরব হয়েছেন এলাকার মানুষেরা। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির দরজা ভেঙে ২ জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শক্তিগড় থানার পুলিশ।