দুর্গাপুরের শিল্প মানচিত্রের একটি কারখানা চুপিসারে বন্ধ হয়ে গেল। শ্রমিকদের আশঙ্কাই সত্য বলে প্রমাণিত হল। ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের এক নোটিসে দুর্গাপুরে ডিপিএলের কোক-ওভেন কারখানা বন্ধের কথা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি আইএনটিইউসি নেতা উমাপদ দাসের। জানা গেছে মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এক নোটিসে ডিপিএলের কোক-ওভেন প্ল্যান্টকে নন ওর্য়াকিং বলে উল্লেখ করেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শ্রমিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কোক-ওভেন প্ল্যান্টে কর্মরত শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ ডিপিএল কর্তৃপক্ষ এতদিন কোক ওভেন প্ল্যান্ট কুলিং-এর জন্য শাটডাউন করা হয়েছে বলে প্ল্যান্ট বন্ধের কথা চেপে গিয়েছিল। মুখ্যসচিবের নোটিসে সব পরিস্কার হয়ে গেল। তাই চুপিসাড়ে এই প্ল্যান্টের শ্রমিকদের কারখানার অন্য বিভাগে বদলির প্রক্রিয়া চলছে। শ্রমিকদের আশঙ্কা ভবিষ্যতে উদ্বৃত্ত শ্রমিকদের ভিআরএস ধরিয়ে দেবে কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের ৩ জুলাই কোক-ওভেন প্ল্যান্ট অলাভজনক ঘোষণা করে প্ল্যান্ট কুলিং এর নামে বন্ধ রাখে রাজ্য সরকার। এর পর কোক-ওভেন প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার জল্পনা ছড়ায়। বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দুর্গাপুরে এসে সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে কোক-ওভেন প্ল্যান্ট বন্ধ করার কথা অস্বীকার করেন। ফের ২১ ফেব্রুয়ারি সব জল্পনা ছাপিয়ে কোক-ওভেন প্ল্যান্ট বন্ধের কথা নোটিসে দেখে শ্রমিকদের মাথায় বাজ পড়ে। দুর্গাপুর পুর্ব কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হল। একে একে কলকারখানা বন্ধ হয়ে গিয়ে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল মৃত নগরীতে পরিণত হচ্ছে। শ্রমিক স্বার্থে কোক-ওভেন প্ল্যান্টটি বাঁচানো যেত, কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার শ্রমিক বিরোধী নীতিতে একই পথে হাঁটছে। এর পর এএসপি ও ডিএসপিরও একই অবস্থা হবে। এই হল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নয়া শিল্পনীতি। দুর্গাপুর বাঁচাতে এর বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলছে ও চলবে।’

Like Us On Facebook