মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার জেলায় কার্যত কোনও বাসই চলাচল করবে না। সভায় লোক আনার জন্যে সরকারিভাবে তো বটেই তৃণমূলও প্রচুর বাস তুলে নিয়েছে। আবার পুরানো রেল সেতু ভাঙার জন্য বর্ধমান স্টেশনের উপর দিয়ে যাওয়া অনেকগুলি হাওড়া লোকাল, আসানসোল, রামপুরহাট লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাস ও ট্রেনের অপ্রতুলতার কারণে বৃহস্পতিবার যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যেই পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার ব্যস্ত সময়ে ট্রেন চলাচল যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার জন্য রেলের সঙ্গে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা কথাও বলছেন।

জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিক (আরটিও) অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘যাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্যে রাস্তায় বাস থাকবে।’ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় সভায় ৩০ হাজারের মতো লোক নিয়ে আসা হচ্ছে। তারজন্য জেলা প্রশাসন সব ব্লকে বাস পাঠাচ্ছে, এ ছাড়াও বেশ কিছু বাস ‘রিজ়ার্ভ’ রাখা হচ্ছে।

তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য মানুষের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী সভায় নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সে জন্য প্রতিটি ব্লক থেকে বাসে করে তো বটেই অনেকে হেঁটেও সভাস্থলে আসবেন। আমাদের আশা, লক্ষাধিক মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আসবেন।’ ইতিমধ্যে তৃণমূলের তরফে বেশ কয়েকবার জেলাতেই বৈঠক হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সভাস্থলের পাশেই পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে সভার শেষে বাসে উঠতে বেশি সময় লাগবে না।

এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য সকাল আটটা থেকে বর্ধমান শহর লাগোয়া ১৯টি রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্যে নির্দেশিকা জারি করেছেন জেলাশাসক। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বাস, ট্রাক, গাড়ি, মালবাহী গাড়ি যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হবে অথবা অন্য রুট দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শহরের ভিতর টোটো, গাড়ি কিংবা মোটরবাইক চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন নবাবহাট থেকে উল্লাস পর্যন্ত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ছ’লেন করার কাজ চলছে, সেই কাজও মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বন্ধ রাখার জন্যে প্রশাসনের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে।

যান নিয়ন্ত্রণ

• বর্ধমান-কালন রোডের হাটগোবিন্দপুর, আটাগড় মোড়
• বর্ধমান-কাটোয়া রোডের ৬ মাইল, দেওয়ানদিঘি, বর্ধমান রেল উড়ালপুল
• বর্ধমান শহরের গোলাপবাগ, নবাবহাট মোড়, বীরহাটা, তেলিপুকুর মোড়, কানাইনাটশাল মোড়, উল্লাস মোড়, ঝিঙুটি মোড়
• দেওয়ানদিঘি থানার হলদি মোড়, রায়না থানার বাঁকুড়া মোড়, মোগলমাড়ি, মাধবডিহির মনিয়ারঢাল, খণ্ডঘোষের মেটেডাঙা
• এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গাতে টোটো, মোটর ভ্যান, গাড়ি মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। (সূত্র: জেলা প্রশাসন)

Like Us On Facebook