রাত পোহালেই বর্ধমানে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই তিনি ১০০-রও বেশি প্রকল্পের সূচনা এবং উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভাকে ঘিরে চলছে শেষ মূর্হূতের প্রস্তুতি।
আর মুখ্যমন্ত্রীর আসার আগেই হিমঘরে রাখা আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন মেমারি ও রসুলপুরের আলু চাষিরা। কৃষকদের দাবি, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অথবা আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তাঁদের দুই প্রতিনিধিকে দেখা করতে দিতে হবে। বুধবার বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে আলুচাষিদের এই অবস্থান বিক্ষোভকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় পুলিশ মহলে। এদিন আলুচাষিরা জানিয়েছেন, গত বছর ১৯ মে মেমারির রসুলপুরে তিরুপতি হিমঘরে গিয়ে তাঁরা দেখেন, ৩নং চেম্বারে রাখা আলু নষ্ট হয়ে গেছে। হিমঘর সূত্রে তাঁরা জানতে পারেন, ৩ নং চেম্বারে ১৮৮৯ জন কৃষকের ১,১৫,৬৬৩ প্যাকেট আলু ছিল। এরপর আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন কৃষকরা। ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন আলু চাষিরা। পাশাপাশি জেলাশাসকের কাছে তাঁদের দাবি নিয়ে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা।
এর আগে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একাধিক বার কৃষকদের সাথে হিমঘর কর্তৃপক্ষ, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার বসার পরও মেলেনি সমাধান সূত্র। বুধবার আলুচাষিরা জানিয়েছেন, নষ্ট হয়ে যাওয়া আলুর সঠিক ক্ষতিপূরণ ১০ মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও মেলেনি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী কয়েকমাস আগে দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তাঁদের এই সমস্যা সমাধানের কথা বললেও এখনও পর্যন্ত সমস্যার সুরাহা হয়নি। চাষীদের অভিযোগ, কোর্টের নির্দেশে দু’দফায় ৩ কোটি টাকা অর্থাৎ বস্তা পিছু ২৫৫ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে হিমঘর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সরকার ক্ষতিপূরণের জন্য বস্তা প্রতি ৮৯০ টাকা ধার্য করেছিল। বাকি টাকা না মেলায় তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। তাঁদের দাবি না মানা হলে রাস্তায় বসে এই বিক্ষোভ চলবে বলে এদিন হুঁশিয়ারি দেন আলু চাষিরা।