পানাগড় রামকৃষ্ণ মিশনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছোট্ট স্নেহা দাস ড্রাম বাজিয়ে একের পর এক মঞ্চ কাঁপিয়ে এখন শিল্পাঞ্চলের শিরোনামে। ১৩ বছরের স্নেহা ইতিমধ্যেই একটি ব্যান্ড গড়ে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুর-আসানসোল থেকে কলকাতা পর্যন্ত মানুষের নজর কেড়েছে। তাছাড়া কলকাতার কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে স্নেহার মিউজিক অ্যালবামও রিলিজ হয়েছে। সেখানেও ১৩ বছরের স্নেহা মুখ্য ড্রাম বাদক। স্নেহার স্বপ্ন বিখ্যাত ড্রাম বাদক শিবমনির সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করা। আর সেই লক্ষ্যেই স্নেহার প্রস্তুতি চলছে দিনরাত।
স্নেহার বাবা সুভাষ দাস ও মা সোমা দাস। বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল আর পাঁচজনের থেকে একটু আলাদা ভাবে মেয়ের ভবিষ্যৎ তৈরি করা। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি গান, নাচ বা গিটার-সেতার নয়, মেয়েকে আলাদাভাবে পরিচিতি দিতে ড্রাম বাদক হিসেবে গড়ে তুলছেন বলে জানান সুভাষবাবু। দুর্গাপুরের বিশিষ্ট ড্রাম বাদক তপন পালের কাছে স্নেহা ড্রাম বাজানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। স্নেহার বাবা সুভাষ দাস বলেন, ‘স্নেহা ৮ বছর বয়স থেকেই পানাগড় থেকে দুর্গাপুরে এসে তপন পালের কাছে ড্রাম বাজানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পাঁচ বছর প্রশিক্ষণের পর এখন স্নেহা পেশাদার ড্রাম বাদক হিসেবে একের পর এক এক মঞ্চ কাঁপিয়ে চলেছে। পশাপাশি প্রশিক্ষণও চলছে সমান তালে।’ স্নেহা বলে, ‘একজন সফল ড্রাম বাদক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই আমার স্বপ্ন।’ পাশাপাশি পড়াশোনাটাও চালিয়ে নিয়ে গিয়ে ডব্লুবিসিএস আধিকারিক হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করাও যে অন্যতম লক্ষ্য সেকথা অকপটে জানায় স্নেহা।