সম্প্রতি দেশে হায়দ্রবাদের ভারত বায়োটেক, আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনার প্রতিষেধক ‘কোভ্যাক্সিন’-এর শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের ফল যথেষ্ট সন্তোষজনক। কয়েকটি দেশে অন্যান্য সংস্থার তৈরি করোনা টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তৈরি কোভ্যাক্সিনের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা সহ ভারতবাসী যথেষ্ট আশাবাদী।
প্রায় পাঁচ মাস আগে করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’-এর হিউম্যান ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন দুর্গাপুরের স্কুল শিক্ষক চিরঞ্জীত ধীবর। টিকা নেওয়ার ১০৪ দিনের মাথায় শারিরীক পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখযোগ্য হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন চিরঞ্জিত ধীবর। চিরঞ্জিত ধীবর কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়ালে রাজ্যের প্রথম স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন। ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড এসইউএম হাসপাতালে তাঁর শরীরে করোনার টিকা প্রয়োগ করা হয়। দায়ীত্বপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞরা ভুবনেশ্বরে ২৯ জুলাই প্রথম পর্যায়ে তাঁকে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেন। তারপর ১৪ দিনের মাথায় ফের ১২ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। এর পর ২৮ দিনের মাথায় ফের শারীরিক পরীক্ষায় শরীরে অ্যান্টিবডি টেস্ট করে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং ১০৪ দিনের মাথায় ফের ভুবনেশ্বরে গিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করার কথা বলা হয়। সেইমতো চিরঞ্জিত ধীবর ১০৪ দিনের মাথায় শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে আসেন ভুবনেশ্বরের আইএমএস অ্যান্ড এসইউএম হাসপাতালে। চিরঞ্জীতের দাবি আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞরা তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি বৃদ্ধিকে সন্তোষজনক বলে জানান।
১৯৪ দিনের মাথায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফের তাঁকে ভুবনেশ্বর যেতে বলা হয়েছে। চিরঞ্জীতবাবু বলেন, ‘আমি এখন একদম সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছি। আমার কোন শারীরিক অসুবিধা নেই। তবে ভালো থাকতে বেশ কিছু নিয়মবিধি মেনে চলার পরামর্শ আমাকে দিয়েছেন আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞরা। যেমন সকালে কিছুটা হাঁটা সঙ্গে হালকা যোগ ব্যায়াম। তেল-ঝাল ছাড়া হাল্কা ডায়েট। রাতে নির্দিষ্ট সময়ের ঘুম। এবং কোনরকম নেশা থেকে দুরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনার টিকা নিয়ে আমি যখন সুস্থ রয়েছি তখন এই কোভ্যাক্সিন আমার দেশের মানুষকে করোনা থেকে মুক্ত করবে।’