গত কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টির জেরে অবশেষে ভাসিয়ে নিয়ে গেল খড়ি নদীর উপর শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে বর্ধমান ১নং ব্লকের যোগাযোগাকারী একমাত্র সেতুটিকে। এই ঘটনায় বর্ধমান ১নং ব্লকের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২০টি গ্রাম। খবর পেয়ে মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জেলাশাসকের কাছে দ্রুত দুটি নৌকার ব্যবস্থা করার আবেদন করেছেন।
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, গ্রামগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য এই নৌকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অপরদিকে, এই ব্রিজ জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ায় গ্রামের বাসিন্দারা দুষছেন জেলা প্রশাসনকেই। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক দশক ধরে এই কাঠের সেতুটিকে পাকা করার জন্য তাঁরা আবেদন করেই আসছেন। কেউ শোনেনি তাঁদের কথা। শুধু তাইই নয়, জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকরা কেবলই প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গেছেন। কিন্তু আজও পাকা হয়নি সেতু। এমনকি মাস খানেক আগেই জুন মাসের ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছিল এই সেতু। তখনও টনক নড়েনি জেলা প্রশাসনের। আর এবার জলের তোড়ে সেতুটিই ভেসে গেল।
এদিকে, এই সেতু ভেঙে যাওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের প্রায় ১০ কিমি ঘুরে মালম্বা হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অন্যদিকে, করোনার জেরে এখনও স্বাভাবিক হয়নি বাস চলাচল। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে খেড়ুর, কুবাজপুর, বাড়ুই, পানবড়ুই, মাধবপুর প্রভৃতি প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদ থেকে এই সেতু তৈরির জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রায় ২৫ ফুটের সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সেতু হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা কিছুতেই ভরসা রাখতে পারছেন না।