দেশি কই ও শিঙি সহ ড্রাগন ফ্রুট চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন দুর্গাপুরের দুই যুবক। দুর্গাপুরের পারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই দুই যুবক এখন বেকার যুবকদের রুজিরোজগারের নতুন দিশা দেখাচ্ছেন।
দুর্গাপুরের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুলিয়া গ্রামের অনন্ত রুইদাস ও বাসক রায় ‘বটম ক্লিন’ পদ্ধতিতে বড় বড় চৌবাচ্চায় কই ও শিঙি মাছের চাষ করেছেন। এই মাছ চাষে কোনও প্রকার রাসায়নিক ব্যাবহার না হওয়ায় এই মাছে মিলছে পুকুর থেকে পাওয়া দেশি মাছের স্বাদ। বাজারেও এই মাছ বিক্রি করে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের।
অনন্ত রুইদাস বলেন, ‘আমরা মুর্শিদাবাদ থেকে এই বটম ক্লিন পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছি। যে চৌবাচ্চাতে মাছ চাষ করা হচ্ছে সেগুলির আকার কিছুটা কড়াইয়ের মত। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে হচ্ছে এই চাষ। বটম ক্লিন অর্থাৎ চৌবাচ্চার নীচে মাছের যে বর্জ্য জমা হচ্ছে সেটা প্রতিদিন একটি পাইপের সাহায্যে বের করে দেওয়া হয়। প্রথমে আমরা দুটি হার্ভেস্টিং করেছি, তাতে আমরা বেশ ভালো সফলতা পেয়েছি। খুব সহজেই এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, মাছ চাষের পাশাপাশি তাঁরা মাছের খাবারের যোগান দিতে মাছের প্রাকৃতিক খাবার অ্যাজোলা চাষও করেছেন। মাছ চাষ ছাড়াও তাঁরা মূল্যবান ড্রাগন ফ্রুটের চাষও করেছেন নাচন গ্রামে। তাঁদের দাবি, বাজারে ড্রাগন ফ্রুটের ভালো চাহিদা রয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে এর যোগানও বেশ কম রয়েছে। তাই ভালো দামে বিকোচ্ছে এক একটি ড্রাগন ফ্রুট। বিভিন্ন জায়গায় এই মূল্যবান ফলের চাষ হলে বাজারে সঠিকভাবে এর যোগান বজায় থাকবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন থেকে মাছ চাষ ও ড্রাগন ফ্রুট চাষে উৎসাহ দিতে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে দাবি অনন্ত রুইদাস ও বাসক রায়ের। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ‘আত্মা’ প্রকল্পে তাঁদের ড্রাগন ফলের চারা প্রদান করা হয়েছিল বলে জানান তাঁরা।