প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একদিকে যেমন রাজ্য পুলিশ ও এসপিজি মিলিতভাবে পুলিশ কুকুর, মেটাল ডিটেক্টর, মোবাইল জ্যামার নিয়ে নেহেরু স্টেডিয়ামে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলছে, তেমনই অন্যদিকে জনসভায় আসা মানুষজনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে নজর দিতে বিজেপির সুশৃঙ্খল স্বেচ্ছাসেবকদের নিষ্ঠা ও কর্তব্যের পাঠ দিলেন বিজেপির রাহুল সিনহা ও সায়ন্তন বসু।

বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকরা বলেন, ‘আমরা জনসভা দেখতে আসিনি। আমরা বিজেপির সুশৃঙ্খল স্বেচ্ছাসেবক। মাথা ঠাণ্ডা রেখে বিরোধীদের চক্রান্তের ফাঁদে পা না দিয়ে আমরা মোদীজীর জনসভায় দূরদূরান্ত থেকে আগতদের সাহায্য করব যাতে তাঁরা সহজে জনসভায় প্রবেশ করতে পারেন। তাদের পানীয় জল সহ সব রকম সাহায্য করে তাঁদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করাই আমাদের কর্তব্য।’ নিষ্ঠার সঙ্গে সব স্বেচ্ছাসেবক যাতে তাঁদের কর্তব্য পালন করেন তারই পাঠ দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রাহুল সিনহা ও রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাঠে বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকদের নিজ নিজ কর্তব্য পালনের প্রয়োজনীয় পাঠ দিলেন বিজেপির পদাধিকারীরা।

এদিন নেহেরু স্টেডিয়ামে মাঠের এক কোণে বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকদের রাহুল সিনহা ও সায়ন্তন বসুরা বিতর্ক, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কিভাবে সাফল্যমন্ডিত করা যাবে সেই ব্যাপারে অভিজ্ঞ দুই নেতা তাঁদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা এদিন তুলে ধরেন বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে। নিষ্ঠার সঙ্গে বর্ষীয়ান নেতাদের সেই নির্দেশ যে পালন করবেন স্বেচ্ছাসেবকরা তার জানান দেন ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনি দিয়ে। শনিবারে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব শুক্রবার থেকেই শহরে আসতে শুরু করেছেন।

এদিকে শনিবারের প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুরের সভাকে ঘিরে শুক্রবারও বিজেপি কর্মীদের প্রচারে শাসক দলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল।শাসক দলের কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার প্রচারের ফ্লেক্স, ফেস্টুন, প্রচারের গেট ভেঙে দেয় বলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রাহুল সিনহা অভিযোগ করেন। শুক্রবার সারাদিন শাসক-বিরোধী এই নিয়ে চাপান উতর চলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের উইমেন্স কলেজের সামনে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের ঝামেলা বাধে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা যার দায়িত্বে রয়েছে সেই বিজেপির রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সঞ্জয় সিং শুক্রবার নেহেরু স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতিতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশের চরম অসযোগিতার অভিযোগ করে বলেন, ‘কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল বিরোধী দলের সভা সমাবেশ করতে বাধা দেয়। অন্যান্য রাজ্যে বিরোধীদের সভা-সমাবেশে পুলিশ ও শাসকদল পূর্ণ সহযোগিতা করে।




বিজেপির রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সঞ্জয় সিং

Like Us On Facebook