bhabani-pathak-1একসময় বিপ্লবীদের আস্তানা ছিল ভবানী পাঠকের মন্দির। স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবীরা মাকালির আশীর্বাদ নিয়ে স্বাধীনতার যুদ্ধে যেতেন। তাই প্রচলিত মন্ত্রে নয় ভবানী পাঠকের মাকালি আজও বন্দেমাতরম মন্ত্রে পূজিত হন। ভবানী পাঠক প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে ডাকাতরানি দেবী চৌধুরানিও থাকতেন। ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানি মিলে ডাকাতি করে বিপ্লবীদের দেশ সেবায় সাহায্য করতেন বলে শোনা যায়। সেই সময়কার অনেক নিদর্শন আজও বর্তমান। দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের অম্বুজা আবাসন এলাকায় এখনও গা-ছমছম জঙ্গল পরিবেশের এই মন্দরে অনেক ভক্ত আসেন ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানির মন্দির দর্শন করতে। তারাপীঠের মায়ের রীতি মেনে শ্যামাকালি পুজোর আগের নিশিরাতে ভবানী পাঠকের মাকালির পুজো অনুষ্ঠিত হয়। অম্বুজা আবাসন এলাকার কংক্রিটে মোড়া অভিজাত এলাকায় অবস্থিত হলেও সেই সময়কার গা-ছমছমে পরিবেশ আজও বিদ্যমান। দুর্গাপুরের মানুষ আজও এই মন্দিরটিকে ভবানী পাঠক ও দেবী চৌধুরানির মন্দির নামেই চেনেন।

bhabani-pathak-3মন্দিরের পুরোহিত সূত্রে জানা যায়, মন্দিরের প্রবেশ পথে ও মন্দিরের ভিতরে মায়ের বেদিতে খোদাই করা রয়েছে দেশাত্মবোধক মন্ত্র, বন্দে মাতরম জয় জয় ভারতবর্ষম। এছাড়াও এই মন্ত্রের সঙ্গে আরও উচ্চারিত হয় ঐক্যম স্মরনাম গচ্ছামি, সত্যম স্মরনাম গচ্ছামি, স্বরাজ স্মরনাম গচ্ছামি।