বিগত কয়েকমাস ধরে বর্ধমান স্টেশন সংলগ্ন রেল উড়ালপুল অন্ধকারে, আলোর দায়িত্ব কার এই নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। আর এই অন্ধকারের সুযোগে উড়ালপুল চত্বরে দুষ্কৃতিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। প্রতিবাদে টর্চ ও হ্যারিকেন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পূর্ব বর্ধমান যুব কংগ্রেস কর্মীরা। অবিলম্বে আলোর ব্যবস্থা না করা হলে আগামীদিনে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে হুমকি দিয়ে রাখলেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা।
বর্ধমান শহরের গর্ব নতুন রেলওয়ে ওভারব্রিজের আলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কার? আজও তার কোনো সঠিক উত্তর মিলল না। আর ভাগের মা-এর মতই গত প্রায় কয়েকমাস ধরে অত্যন্ত ব্যস্ততম এই বর্ধমান উড়ালপুল সন্ধ্যা নামলেই ঘন অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই যার নাম দেওয়া হয়েছে বর্ধমানের অন্ধকার ব্রিজ হিসাবে।
সন্ধ্যা নামলেই আস্তে আস্তে অন্ধকারে ঢাকা পড়তে থাকা এই উড়ালপুলে রাস্তার বাঁক নিতে গিয়ে ছোট বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সিরাজ, রসিদ খান, ভবানীপ্রসাদ গুপ্তা প্রমুখরা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উড়ালপুলের উদ্বোধন করেছিলেন বর্ধমানের গর্ব হিসাবে। কিন্তু হয়ত তিনি ভাবতেও পারেনি ২ বছর পার হতে না হতেই এই উড়ালপুলের ভাগ্য দুলতে থাকবে। গোটা উড়ালপুলে আলো না থাকায় রাত্রিবেলায় মহিলাদের কানের দুল, মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বর্ধমান পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার অমিত গুহ জানিয়েছেন, উড়ালপুলের আলোর ব্যবস্থা যে তাঁদের এব্যাপারে তাঁরা কিছু জানেন না। কারণ এখনও পর্যন্ত তাঁদের কাছে ওই ওভারব্রিজের আলো বাবদ কোনো বিলই আসেনি। রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশনামা আছে – যেখানে যেখানে উড়ালপুল আছে সেখানকার আলোর ব্যবস্থা করবে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু বর্ধমানের ক্ষেত্রে এখনও তাঁদের সঙ্গে এব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে তাঁর মনে পড়ছে না। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিতে হবে। ফের কবে উড়ালপুল রাতে আলো ঝলমলে হয়ে উঠবে সেদিকেই তাকিয়ে বর্ধমানবাসী।