বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভার স্বাস্থ্য পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক দীপক কুমার হালদার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ভ্রুণ হত্যার পক্ষেই সওয়াল করে গেলেন বর্ধমান মে়ডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদিন প্রতিনিধিদলের চেয়ারম্যান দীপক কুমার হালদারের নেতৃত্বে ৯ জন বিধায়ক সহ ৪ জন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন মূলত থ্যালাসেমিয়া ইউনিট পরিদর্শন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে।

এদিন হাসপাতাল পরিদর্শন সেরে বর্ধমানের বিডিএ হলে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়েও তারা বৈঠক সারেন। দীপকবাবু এদিন জানান, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা যেমন জরুরি তেমনই সরকারিভাবে একটি পরীক্ষাও রয়েছে যেখানে বিয়ের ৩-৪ মাসের মধ্যেই ভ্রুণের পরীক্ষা করা যায়। সেক্ষেত্রে যদি দেখা যায় ওই শিশুও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হতে চলেছে তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের আবেদন ও অনুরোধ ওই বাচ্চা যেন না নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, এদিন তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমান হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া রোগীর চাপ অত্যন্ত বেশি। যদিও ডাক্তার ও চিকিৎসা কর্মীদের আন্তরিকতা নিয়ে তিনি এদিন প্রশংসাও করেন। দীপকবাবু জানিয়েছেন, বর্ধমান হাসপাতালে রোগীর চাপ এবং থ্যালাসেমিয়া নিয়ে আলাদা একটি ইউনিট করার দাবি উঠেছে। এব্যাপারে তাঁরা বিধানসভায় রিপোর্ট দেবেন। এদিন বিডিএ হলে বিধায়কদের এই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক রত্নেশ্বর রায়, বর্ধমানের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান হাসপাতালের সুপার ডা. উৎপল দাঁ, ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা, বর্ধমান হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের প্রধান ডা. শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী প্রমুখ।

শর্মিষ্ঠাদেবী এদিন জানান, ২০০৯ সালে বর্ধমান হাসপাতালে এই থ্যালাসেমিয়া ইউনিট চালু হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত মোট ৭৫০ জন রোগী নথীভুক্ত হয়েছেন। বর্ধমান হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া ইউনিটে ১০টি বেড রয়েছে। যেখানে গড়ে ১২ -১৪ জন ভর্তিও থাকেন। কিন্তু যেভাবে থ্যালাসেমিয়া রোগীর চাপ বাড়ছে তাতে আলাদা করে একটি ভবন তথা ইউনিট করা খুবই জরুরী। বিশেষত, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখনও কোন থ্যালাসেমিয়া ইউনিট তৈরিই হয়নি। এর ফলে ঝাড়খণ্ড সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও রোগীরা বর্ধমানে চলে আসছেন ভাল চিকিৎসা পাবার জন্য।

Like Us On Facebook