বর্ধমান পৌর উৎসবের অঙ্গ হিসাবে পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে আন্তঃওয়ার্ড ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলাকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল বৃহস্পতিবার বিকালে। সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখমও হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামাতে হয় পুলিশ বাহিনীকেও। পূর্ণ সময় খেলার আগেই দুপক্ষের সংঘর্ষে বন্ধও করে দেওয়া হল চূড়ান্ত পর্বের খেলা।
এদিন বর্ধমানের স্পন্দন মাঠে ২৬ নং ওয়ার্ডের সঙ্গে ৬ নং ওয়ার্ডের ফাইনাল খেলা ছিল। প্রথম থেকেই টানটান উত্তেজনায় খেলা শুরু হয়। প্রথমার্ধের খেলায় ৬নং ওয়ার্ডের সুরজিত রায়ের দেওয়া ১ গোলে এগিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাতে থাকে ২৬নং ওয়ার্ড। এই সময় ৬নং ওয়ার্ডের গোলবক্সের মধ্যে বল দখলের লড়াইয়ে গুরুতর আহত হন ২৬নং ওয়ার্ডের তুফান ক্ষেত্রপাল। তিনি মাঠে পড়ে ছটফট করতে থাকেন। নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তা সত্ত্বেও রেফারি মুক্ত ধাবক খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। আর এই ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন ২৬নং ওয়ার্ডের দর্শকরা। হুড়মুড় করে দর্শকরা মাঠে ঢুকে বেধড়ক মারতে থাকেন রেফারীকে। পাল্টা ৬নং ওয়ার্ডের দর্শকরাও মাঠে ঢুকে পড়ায় মূহূর্তের মধ্যে খেলার মাঠ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
এই সময় কর্তব্যরত সাংবাদিকদেরও মারধোর করা হয়। হাইভোল্টেজ এই খেলা দেখতে হাজির ছিলেন খোদ পুরপতি ডা. স্বরূপ দত্ত সহ অন্যান্য কাউন্সিলাররাও। কিন্তু সংঘর্ষ শুরু হতেই তাঁরা কার্যত মাঠ ছাড়েন। এদিকে দুপক্ষের এই সংঘর্ষে কয়েকজন জখমও হন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মাঠে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ২৬নং ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি আমজাদ হোসেন জানান, রেফারির অপদার্থতার জন্য চুড়ান্ত পর্বের এই খেলা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পুরসভার আরও দায়িত্বশীল হওয়া এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল। অন্যদিকে, এদিন ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, ৩৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠকেই এই খেলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি জানান, এই ধরণের ঘটনা না ঘটলেই ভাল হত।