পূর্ব বর্ধমানে ভোট পরবর্তী অশান্তি অব্যাহত। চায়ের দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমুলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি থানার চকদিঘি মোড় এলাকায়। চায়ের দোকানের মালিক বাসুদেব দে’র অভিযোগ, তাঁর দোকানের সামনের চালের একটি বাঁশ ভেঙে যাওয়ায় সেই বাঁশটি পরিবর্তন করছিলেন। সেই সময় তৃনমূলের কয়েকজন এসে তাঁকে বাধা দেয়। বাঁশ পাল্টানোর জন্য পৌরসভার অনুমতি দেখতে চাওয়া হয়। তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উভয়ই। বাসুদেব দে’র অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা তাঁর দোকান ভাঙচুর করে, তাঁকে মারধরও করে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি কর্মীরা তাঁর দোকানে চা খেতে আসার কারণে দোকানে হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা মলয় ঘোষ বলেন, ‘এদিন সকালে আমরা তিন-চারজন মিলে বাসুদেব দে’র দোকানে চা খেতে যাই। সেই সময়ের রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নিয়ে দোকানে আলোচনা চলছিল। হঠাৎই বাসুদেব চাকু নিয়ে তাঁদের ওপর আক্রমণ চালায়।’ মেমারি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় সামন্ত বলেন, ‘বাসুদেব দে একটি অবৈধ কনস্ট্রাকশন করছিল পৌরসভার অনুমতি না নিয়ে। তাই ওয়ার্ড কমিটির মেম্বার তাঁকে বাধা দিতে গেলে চাকু নিয়ে তাঁর উপর হামলা করে।’
অন্যদিকে, বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, নির্বাচনে তৃণমূলের হার নিশ্চিত জেনে তাঁরা আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। একটি বাঁশ পাল্টানোর জন্য কখনও অনুমতির প্রয়োজন নেই। আর এটা যদি বেআইনি হয়ে থাকে তাহলে মেমারি থানার সামনে সরকারি জায়গায় নীচে দোকান এবং উপরে তৃণমুলের পার্টি অফিস কি করে বেআইনি ভাবে হল? গোটা বিষয় নিয়ে, দুই পক্ষই মেমারি থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ জানায়।