ভাগাড় কাণ্ডের রেশ মিলিয়ে যেতে না যেতেই ফের কুকুর কাণ্ড নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠল পূর্ব বর্ধমানের কলানবগ্রাম এলাকায়। শুক্রবার রাতে দেশি কুকুর ধরে খাঁচায় ভরে গাড়ি করে তা কলকাতার উদ্দেশ্যে পাচার করার আগেই গ্রামবাসীদের তৎপরতায় কুকুরগুলি উদ্ধার হলেও পালিয়ে গেল সন্দেহভাজনরা। এই এঘটনায় গোটা এলাকা জুড়েই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

কলানবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা সন্দীপন সরকার জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত্রি প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁরা কলানবগ্রামের একটি মোড়ে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের কাছে খবর আসে এলাকার বেশ কয়েকটি কুকুর ধরে তাদের খাঁচায় পুরে পাচার করা হচ্ছে একটি ছোটহাতি গাড়িতে। সন্দীপনবাবু জানিয়েছেন, এই খবর পাওয়ার পরই তাঁরা একটি গাড়িকে আটকান। ওই গাড়িতে একটি বড় লোহার খাঁচা ছিল। তার মধ্যে ৪টি দেশি কুকুর ছিল। এরপরই তারা গাড়ির চালক এবং আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা বিভিন্নরকম কথাবার্তা বলতে থাকেন। তাদের কাছ থেকেই জানতে পারেন গাড়িটি বড়শুল জুট মিলের। কিন্তু ওই কুকুরগুলিকে ধরে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সে ব্যাপারে তারা কিছু সঠিকভাবে বলতে চাননি। এরপরই খাঁচাশুদ্ধ কুকুরগুলিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েই গাড়ি নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। সন্দীপনবাবু জানিয়েছেন, এরপরই তাঁরা জানতে পারেন মেমারি থানার পাল্লারোডের কাঁটাটিকুরি গ্রাম থেকে ওই কুকুরগুলিকে ধরা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, রাতেই তাঁরা ওই খাঁচা ভেঙ্গে কুকুরগুলিকে মুক্ত করেন। কিন্তু এই ঘটনার পর তাঁরা রীতিমত চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

শুধু সন্দীপনবাবুই নন, তাঁর পাশাপাশি এদিন গ্রামের অনেক বাসিন্দাই অভিযোগ করেছেন, ভাগাড় কাণ্ডের রেশ কমতেই ফের কুকুরগুলিকেই কলকাতায় মাংসের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিনা তা নিয়েই তাঁরা আশঙ্কিত। পাশাপাশি তাঁদের সন্দেহ, গ্রাম গঞ্জ থেকে এভাবেই রাতের অন্ধকারে ফাঁদ পেতে দেশি কুকুরদের ধরে নিয়ে কলকাতা সহ অন্যান্য জায়গায় পাচার করার জন্য একটি চক্র তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীরা এই ঘটনায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং এব্যাপারে জোরদার তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে মেমারি থানার পুলিশ জানিয়েছে, এখনও তাদের কাছে এই ধরণের কোন অভিযোগ আসেনি। তবে তাঁরা খোঁজখবর নিচ্ছেন।

Like Us On Facebook