দুর্গাপুরের এক কাউন্সিলরকে খুর দিয়ে আক্রমণের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফের শাসকদলের আর এক প্রভাবশালী নেতাকে আক্রমণের চেষ্টা। এবার হামলাকারী দেশি পিস্তল নিয়ে শাসক দলের নেতার উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করল। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের পান্ডবেশ্বরে।

পান্ডবেশ্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন চক্রবর্তীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বীরু বাউরি নামে এক ব্যক্তি এসে প্রথমে গালিগালাজ ও চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকে বলে অভিযোগ। সেই সময় নরেন চক্রবর্তীর নিরাপত্তারক্ষীরা বীরু বাউরিকে বাড়ির বাইরে যেতে বললে বীরু বাউরি নরেনবাবুকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপরেই নরেন চক্রবর্তীর নিরাপত্তারক্ষীরা বীরু বাউরিকে আটক করে তার কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল ও বেশ কিছু কার্তুজ উদ্ধার করে বলে অভিযোগ। এরপরেই অভিযুক্ত বীরু বাউরিকে উখড়া ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দেন নরেনবাবুর নিরাপত্তারক্ষীরা। এই ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা হরিপুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় অশান্তি এড়াতে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এই ঘটনাকে বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেন পান্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নরেন চক্রবর্তী। নরেন চক্রবর্তীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই। লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, ‘নরেন চক্রবর্তীর উপর হামলার সঙ্গে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই। এটা শাসকদলের নেতাদের গোষ্ঠী কোন্দল, ভাগ-বাটোয়ারা, সিন্ডিকেটের ফল। নরেন চক্রবর্তী এলাকায় অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তুলেছেন। একবার নরেনবাবু অস্ত্র সহ ধরাও পড়েছিলেন বিমানবন্দরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের পর দিকে দিকে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। আজকের ঘটনায় শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে দুষ্কৃতিদের কোন্দল প্রকাশ্যে এল।’

বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?

Like Us On Facebook