কাঁকসার মোবারকগঞ্জ সংলগ্ন দামোদর নদের চর থেকে চুরি যাচ্ছে বহু মূল্যবান গাছ। রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে পাচার হয়ে যাচ্ছে এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। কাঁকসার মোবারকগঞ্জের বাসিন্দা জহর মন্ডল জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরে কাঁকসার মোবারকগঞ্জ এলাকার সবুজ বাঁচাতে একজোট হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। গাছ পাচার রুখতে গ্রামবাসীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি কমিটি। বন দফতর থেকে শুরু করে সমস্ত প্রশাসনিক দফতরে গাছ কেটে পাচার রুখতে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছ কেটে পাচার রুখতে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা সুবীর ধারা জানিয়েছেন, ৮০’র দশকে বাঁকুড়ার বড়জোড়া এলাকায় থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট করার জন্য যে পরিমাণে জঙ্গল কাটা হয়েছিল, সমপরিমাণ জঙ্গল তৈরি করে দেওয়ার কথা ছিল। সেই কারণে কাঁকসার মোবারকগঞ্জ সংলগ্ন দামোদর নদের মানাচরে প্রায় ১৭৫ হেক্টর জমির উপর বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছিল। বাঁকুড়া জেলার বন দফতর থেকে সেখানে ক্যাম্প বসানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এলকার বেশ কিছু অসাধু মানুষ রাতের অন্ধকারে কেটে পাচার করে দিচ্ছে। বন দফতরকে বার বার জানিয়েও কোন সুরাহা না মেলায় বহুবার এলকার মানুষ আন্দোলন করেছিল।
অবশেষে মঙ্গলবার ওই এলাকায় পরিদর্শনে আসেন বন দফরের আধিকারিক দুর্গাকান্ত ঝা। তিনি জানিয়েছেন। দফতর থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই প্রায় ৫০ হেক্টর জমির উপরে যে সবুজায়ন করা হয়েছিল তা পরিদর্শন করেছেন। বন দফতরের যে ক্যাম্পগুলি রয়েছে সেগুলিও পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি এলাকার মানুষ আবেদন করেছেন, যে সমস্ত জঙ্গল এলাকা এখনও বন দফতরের অধীনে নেই, সেই সমস্ত জঙ্গল বন দফতরের অধীনে যাতে আসে সেই বিষয়ে তিনি দফতরকে জানাবেন। এছাড়াও গাছ কেটে পাচারের যে অভিযোগ আছে সেই বিষয়ে যাতে নজরদারি বাড়ানো যায় সেটাও দেখা হবে।