রেশনের গম ও কেরোসিন পাচার করার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমানের মেমারি থানার বিজুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনীগ্রামে। একদিকে যখন করোনার গ্রাফ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী, সাধারণ মানুষকে রেশনের মাধ্যমে দুবেলা খাবার দিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, সেই সময় জনগণের প্রাপ্য রেশনের গম ও কেরোসিন রাতের অন্ধকারে পাচার করার দায়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হল।
অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যা প্রায় সাতটা নাগাদ রেশনের এই মাল সরিয়ে ফেলছিলেন বিজুর ২নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেনীগ্রামের রেশন ডিলার জয়দেব মুখার্জী (সপ নম্বর – ২২, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ১৩৩৫০২৪০০০২৪)। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় গ্রামের মানুষরাই হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁকে। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা লিখিত অভিযোগ করেন মেমারি দু’নম্বর ব্লক ফুড ইন্সপেক্টর সুশান্ত সরকারের কাছে। ডিলারের লাইসেন্স বাতিল সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।
জানা গেছে, পুলিশ ৩৫০ কেজি গম এবং প্রায় ২৩০ লিটার কেরোসিন তেল আটক করে। রাতেই ফুড ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ওই ডিলারের গোডাউনকে সিল করে দেওয়া হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় ডিলারের খাতাও। এদিকে, এদিন এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা বর্তমান কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল এবং বিজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বৃন্দাবন ঘোষ। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এর আগেও ওই ডিলার রেশনের মাল সরিয়েছে। কিন্তু তাঁরা ধরতে পারেনি। শনিবার রাতে চুপিসারে মালপত্র সরানোর সময় গ্রামের মানুষের চোখে পড়ে যাওয়ায় হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ফুড ইন্সপেক্টর সুশান্ত সরকার জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত করে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। অপরদিকে, এই ঘটনা সম্পর্কে খোদ রেশন ডিলার জয়দেব মুখার্জ্জী জানিয়েছেন, তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যারা গম, আটা বা কেরোসিন বিক্রি করতে চাইতেন তিনি সেগুলি কিনতেন। এদিন তিনি স্বীকার করেছেন তাঁর ডিলারে বরাদ্দ মালের যেগুলি উদ্বৃত্ত হত সেগুলি তিনি বিক্রি করতেন।