চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বন দফতরের এক কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে উত্তাল হল দুর্গাপুরের বিবেকানন্দ হাসপাতাল চত্বর। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, একদিকে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু অন‍্য দিকে রোগীর মৃত্যু সংবাদ চেপে বাড়তি মাত্রায় বিল আদায় করেছে দুর্গাপুরের বিবেকানন্দ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে প্রবল ক্ষোভে মৃতের পরিবার পরিজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার রাতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিবেকানন্দ হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান।

খবর পেয়ে এনটিএস থানার পুলিশ বাহিনী ছুটে এসে অবস্থা সামাল দেয়। জানা গেছে মৃত ব্যক্তির নাম কাজী নাজির হোসেন (৪৮)। রানীগঞ্জের বক্তারনগরের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রবল জ্বর নিয়ে ১১ নভেম্বর ভর্তি হন় দুর্গাপুরের বিধান নগরের বিবেকানন্দ হাসপাতালে। অভিযোগ ভর্তির পর পরেই প্রথমে ১ লক্ষ টাকা পরবর্তী সময়ে আর ২৫ হাজার টাকা নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অথচ চিকিৎসায় কোন উন্নতি হয় নি রোগীর। ক্রমেই অব্থার অবনতি হতে হতে নাজির হোসেনের অকাল মৃত্যু ঘটে অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেবলমাত্র বাড়তি বিল আদায়ের জন্য নাজিরের মৃত্যু সংবাদ চেপে রেখে বাড়তি বিল আদায়ের জন্য মৃতদেহটি ভেন্টিলেশনে রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।

এদিকে সহকর্মীর অকাল মৃত্যুর খবর শুনে উদ্বিগ্ন দুর্গাপুরের মুখ‍্য বনপাল মিলন কুমার মন্ডল বিবেকানন্দ হাসপাতালে ছুটে আসেন। মৃত্যুর আসল কারণ অনুসন্ধান করতে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে দুর্গাপুরে নয় আসানসোল অথবা বর্ধমানে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হয়। মৃত কাজী নাজির হোসেনের মেয়ে আফরুজা সুলতানা বলেন যে ভাবে বিনা চিকিৎসায় ‌‌বাবার অকাল মৃত্যু হল তা রহস্যময়। অপরদিকে বাবার মৃত্যু সংবাদ চেপে রেখে দিয়ে হাসপাতাল কর্তিপক্ষ যে ভাবে বাবাকে ভেন্টিলেশনে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করল তা চুড়ান্ত অমানবিকতার উদাহরন। নাজির হোসেনের পরিবার প্রশাসনের কাছে বিবেকানন্দ হাসপাতলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। এদিকে বিবেকানন্দ হাসপাতাল কতৃপক্ষ অবস্থা বেগতিক বুঝে মুখে কুলুপ আঁটে।

Like Us On Facebook