ডিমের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দ ৫ টাকা, কিন্তু খোলাবাজারে ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ টাকা। ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রতিদিন ডিম দিতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে ডিমের উপর পড়েছে কোপ। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেন এলাকার মানুষ। গলসি ২ নম্বর ব্লকের বেলগ্রামের বেলগ্রাম দাসপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। খিচুড়ির সঙ্গে ডিম সিদ্ধ অনুপস্থিত দেখেই গ্রামে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। অভিভাবকরা ভিড় করেন সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের ওই কেন্দ্রে।
অভিযোগ, ডিম না থাকার প্রতিবাদে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাকে সকাল নটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত তালা বন্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে ও পরিস্থিতি সামাল দেয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, সপ্তাহে ৬ দিন রান্না করা খাবার দেওয়ার কথা। কিন্তু নানা অছিলায় সপ্তাহে এক-দু দিন করে রান্না করা খাবার দেওয়া বন্ধ থাকছে। তার উপর প্রতিদিন ডিম দেওয়া হচ্ছে না। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বলছেন, এখন বাজারে ডিমের দাম সাত টাকা। ডিমের জন্য সরকারি বরাদ্দ পাঁচ টাকা। বাড়তি টাকা আসবে কোথা থেকে? ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সহায়িকাদের বক্তব্য, শিশুদের রান্না করা খাবারের জন্য ০ থেকে ৮ বছর বয়সীদের জন্য মাথাপিছু ৮ টাকা করে বরাদ্দ। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য বরাদ্দ ১৩ টাকা ৭১ পয়সা। গড়ে ১২ টাকা। আসন্নপ্রসবা ও প্রসূতিদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ১১টাকা ৯১ পয়সা। গড়ে সাড়ে ৯ টাকা। এর মধ্যে রোজ রান্না করা গরম খাবারের সঙ্গে ডিম দিতেই হবে। সেই ডিমের জন্য সরকারের বরাদ্দ পাঁচ টাকা। কিন্তু এখন খুচরো বাজারে ডিমের দাম সাত টাকা। বাড়তি দু’টাকা কোথা থেকে আসবে তা নিয়েই সমস্যা। খরচ সামলাতে না পেরে দু’দিনের ডিমের মূল্য বাবদ পাঁচ টাকা করে মোট দশ টাকা ধরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। গোলমাল শুরু হয় তার পরই।