পুর নির্বাচনে রাজনৈতিক সৌজন্যের নজীর বর্ধমান শহরে। একদিকে, রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আছে চরম লড়াই, আর অন্যদিকে রাজনৈতিক সৌজন্যে রীতিমত নজর কাড়লেন বর্ধমান পুরসভার ৪নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নুরুল আলম ওরফে সাহেব। রবিবার সকালে তিনি প্রচারে বেড়িয়ে তাঁরই ওয়ার্ডের ৩৩নং বুথ এলাকার দুবরাজদিঘীর বাসিন্দা তথা দুবরাজদিঘী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এবং ৪নং ওয়ার্ডেরই সিপিএম প্রার্থী লুৎফর রহমান মুন্সীর সঙ্গে দেখা করলেন। চাইলেন তাঁর আশীর্বাদ। আর ছাত্রসম নুরুল আলমকে কাছে পেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে পাল্টা সৌজন্যের উদাহরণ তৈরি করলেন মাস্টারমশাই লুৎফর রহমান মুন্সী।
যদিও প্রার্থী হওয়ার পরপরই নুরুল আলমের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মাস্টারমশাইয়ের। সেদিনও প্রার্থী হওয়ার খবর পেয়ে রাস্তায় দেখা মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলেন নুরুল আলম। কিন্তু রবিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী নুরুল আলম তাঁর ওয়ার্ডের অন্যান্য ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইলেন। ওয়ার্ডের ৩৩ নং বুথ এলাকায় বাড়ি সিপিআইএম প্রার্থী মাস্টারমশাই লুৎফর রহমান মুন্সীর। ভোট প্রচারে বেড়িয়ে তাঁর বাড়িতেও যান নুরুল আলম। এই ভদ্রতাবোধই এদিন শিক্ষকমশাইকে আপ্লুতও করেছে। তৃণমূল প্রার্থীকে বুকে জড়িয়ে ধরে তিনি বলেছেন, আজকের দিনে এই ধরণের যুবশক্তিরই উঠে আসা প্রয়োজন।
আদপে লুৎফর রহমান মুন্সী কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ নুরুল আলমকে ভোট দেবেন কিনা জানা নেই, কিন্তু এদিন যুযুধান দুই প্রার্থীর মধ্যে এই দৃশ্য দেখে অনেকেই খুশী হয়েছেন। উল্লেখ্য, ৪নং ওয়ার্ডে লড়াই হচ্ছে সিপিএম বনাম তৃণমূলের মধ্যে। এদিন দুবরাজদিঘী এলাকার ৩৩নং বুথ ছাড়াও শোলাপুকুর, নতুনপুকুর, সন্ন্যাসীতলা এলাকায় প্রচার সারেন তৃণমূল প্রার্থী। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস জানিয়েছেন, বর্ধমান পুরসভায় লড়াই মূলত তাঁদের সঙ্গে সিপিএমেরই। যদিও তাঁরা পুরোপুরি আশাবাদী ৩৫টি ওয়ার্ডেই তাঁরা জয়ী হবেন।