সহকারি স্টেশন মাস্টারের কোয়ার্টারের সামনে তাঁরই প্রতিবেশী এক যুবকের বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে মারধরের অভিযোগ উঠল ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি স্টেশন এলাকায়। মেমারি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে সহকারি স্টেশন মাস্টারকে। ধৃতের নাম রাহুল ঘোষ।
প্রতিবেশী তথা রেলকর্মী মনোজ শর্মার ছেলে মনীশ শর্মা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ মেমারি রেল স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার রাহুল ঘোষের কোয়ার্টারের সামনে একটি মোটর বাইক রাখা ছিল। রাহুল ঘোষ তাঁর কোয়ার্টারের সামনে রাখা বাইকটিকে ফেলে দেন। মনীশ তাঁকে কারণ জিজ্ঞাসা করতেই আচমকা তাঁর উপরে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন রাহুল ঘোষ। সেই সময় রাহুল ঘোষ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে দাবি করেছেন মনীশ শর্মা। এই সময় রাহুল ঘোষের বাবা কোয়ার্টার থেকে বেরিয়ে এসে চেলাকাঠ দিয়ে মনীশ শর্মার মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। মনোজ শর্মার ছেলেকে মারধর করছে দেখে তাঁর দিদি ও বোন তাকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, রাহুল ঘোষ চুলের মুঠি ধরে গালে চড় থাপ্পড় মারে মনীশের দিদি ও বোনকে। এমনকি প্রতিবেশীরাও বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও গায়ে হাত তোলেন অভিযুক্ত সহকারি স্টেশন মাস্টার। এই ঘটনায় রাতেই মেমারি থানা থেকে পুলিশ অভিযুক্ত রাহুল ঘোষকে গ্রেফতার করে। শনিবার সকালে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয় তাঁকে। আহত মনীশ শর্মাকে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মাথায় তিনটে সেলাই পড়ে। যদিও এব্যাপারে রাহুল ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোন কথাই বলতে চাননি। শনিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে তিনদিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।