প্রত্যাশামতোই বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বৃহস্পতিবার সকালে পুরসভায় গিয়ে পুর কর্মীদের সঙ্গে একান্তে মিলিত হন আসানসোল পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এরপর তিনি যে পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে পদত্যাগ করছেন তা পুর কর্মীদের জানান। আসানসোল পুরসভার প্রশাসক হিসেবে নিজে এবং পুরকর্মীদের অপরিসীম পরিশ্রমের পরও পুরমন্ত্রীর অসহযোগিতা জন্যই আসানসোলকে স্মার্ট সিটি করতে পারেন নি বলে তিনি পুরকর্মীদের জানান। তিনি আসানসোলের মানুষকেও ধন্যবাদ জানান তাঁকে পুরসভার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য।
এদিন জিতেনবাবু আবেগতাড়িত হয়ে আসানসোল পুরসভার কর্মীদের বলেন, ‘আপনারা খুব পরিশ্রম করেছিলেন আসানসোলকে স্মার্ট সিটি বানাতে। কিন্তু সেটা একজনের জন্য হল না। তবে আসানসোলকে ফের আমরা স্মার্ট সিটি বানানোর চেষ্টা করব। আপনারা ধৈর্য ধরে একটু অপেক্ষা করুন। তিন-চার মাস অপেক্ষা করুন, যারা আসবেন তাঁরা নিশ্চয়ই আপনাদের পরিশ্রম সফল করবেন। এই তিন-চার মাস একটু ধৈর্য ধরে থাকুন। কেউ বিরক্ত করলেও ধৈর্যচ্যুতি ঘটাবেন না। বুধবারে দুর্গাপুরের জনসভায় যেমন দলীয় কর্মীরা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বক্তব্যে হাত তালি দিয়ে সমর্থন করেন, তেমনই বৃহস্পতিবারও জিতেনবাবু আসানসোলের প্রশাসক পদ থেকে পদত্যাগ করার সময় তাঁর বক্তব্য শুনে পুরকর্মীরা হাততালি দিয়ে জিতেনবাবু বক্তব্যকে সমর্থন করেন। জানা গেছে, জিতেন্দ্র তিওয়ারি এদিন আসানসোল পুরসভার প্রশাসক পদে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদও ছেড়ে দেন।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরীও এদিন তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। মাত্র পাঁচ মাস আগে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান তমোনাশ ঘোষের মৃত্যুর পর তিনি এই পদে যোগ দিয়েছিলন। গতকাল পানাগড়ে সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনিও হাজির ছিলেন।