গত ৮ মাস ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী কাঁকসার প্রয়াগপুরের বছর আঠারোর কিশোর সাউল ক্ষেত্রপাল। পানাগড় বাজার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই ভাড়া বাড়িতে ৪ জনের বসবাস। মাসে ৫০০ টাকার বেতনে পরিচারিকার কাজ করেন সাউলের মা আলো ক্ষেত্রপাল। তাই দিয়েই কোনো মতে দিন চলছে তাদের। তারই মধ্যে গত ৮ মাস আগে পা মচকে পড়ে গিয়ে শয্যাশায়ী হয়ে যায় সাউল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার স্কিনে ইনফেকশন হয়েছে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না আলোদেবী। যে টাকা রোজগার হয় তা দিয়ে কোনমতে একবেলা খাবার জোটে, কোনদিন আবার জোটেও না।
লকডাউনের সময় বিভিন্য রাজনৈতিক নেতারা খাদ্য সামগ্রী দিলেও তা আর কত দিন চলবে? তাই প্রতিবেশীদের সাহায্যেই কোনমতে একবেলা খাবার জুটছে পরিবারটির। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন সাউলের। তার সাথে পর্যাপ্ত খাবারেরও প্রয়োজন। পরিবারটিকে বাঁচানোর জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ দেখা যায় নি বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনের। সমস্ত ঘটনা শুনে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিখিল ডোম জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করবেন পরিবারটির জন্য।