এক কিশোরীর শ্লীলতাহানিকে কেন্দ্র করে কাঁকসার আকন্দরা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে উভয় পক্ষের মোট ১৪ জন আহত হল। আহতদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুর এবং বাড়ির লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত পঞ্চায়েত প্রধানের কাকাকেও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে দুর্গাপুরের কাঁকসার আকন্দরা গ্রামে। ঘটনার জেরে সোমবার সকাল থেকে শুরু করে রাতভর দফায় দফায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর গোটা এলাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
আকন্দরা গ্রামে চব্বিশ প্রহরের নাম সংকীর্তন আসরে এক কিশোরীকে এক যুবক শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। জানা গেছে, ওই যুবকের নামে অভিযোগ জানালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জাহিরুল মিদ্দার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার পর বিজেপি কর্মীরা জাহিরুল মিদ্দাকে মদত দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পিযূষ মুখার্জীর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
এদিকে যাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা সেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জাহিরুল মিদ্দা ঘটনার পর থেকে পলাতক। জানা গেছে, অভিযুক্ত জাহিরুল মিদ্দা শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত সহ গ্রামের বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে। তারপর বিজেপি কর্মীরা একজোট হয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। জানা গেছে, এই জাহিরুল মিদ্দা বেশ কিছু দিন আগে কাঁকসার বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষের খুনে অন্যতম অভিযুক্ত। তিন মাস জেল খেটে বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছে।