মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার জেরে কলকাতায় যানজট ঠেকাতে দুই বর্ধমানের জাতীয় ও রাজ্য সড়কে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে। আসানসোলের ডুবুরডিহি চেকপোস্ট থেকে শুরু করে দুই বর্ধমানের বিভিন্ন পয়েন্টে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে কলকাতামুখী পণ্যবাহী গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। রাজ্য সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টেও কলকাতামুখী পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বোঝাই গাড়িগুলির ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যে ২০ বা তার বেশী চাকার পণ্যবাহী গাড়ি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি কলকাতার যানজট ঠেকাতে রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত মহনগরে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করবে বলে জানা গেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে কলকাতামুখী পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ট্রাক চালকদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই পুলিশ ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ি আটকে দিচ্ছে। ভিন রাজ্য থেকে আসা এক ট্রাক চালক রাজ কুমার ট্রাক নিয়ে মুচিপাড়ায় আটকে আছেন। রাজকুমার বলেন, ‘রাত দুটো থেকে জাতীয় সড়কের উপর পণ্য বোঝাই ট্রাক নিয়ে আটকে আছি। আমি কলকাতা যাব না। বাঁশকোপার এক কারখানায় যাব। অথচ আমাকে ট্রাক নিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’ রাজ কুমারের প্রশ্ন, তা হলে কি ভাবে কারখানায় মাল পৌঁছাবো?
দুর্গাপুরের ট্রাফিক পুলিশের এসিপি শাশ্বতী সামন্ত বলেন, ‘কলকাতার মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার জেরে কলকাতার যানজট রুখতে দুর্গাপুর সহ দুই বর্ধমান জেলার জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনীয় সময়ে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতামুখী পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ না করা হলে কলকাতার যানজট পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হবে।’