বর্ধমানে ২ নং জাতীয় সড়কের উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন এক এক স্কুটি আরোহী। অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগটি মাঞ্জা সুতোয় কেটে রাস্তায় পড়ে যায়। বরাতজোরে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ওই স্কুটি আরোহী। বুধবার বিকেলে ঘটনটি ঘটেছে শক্তিগড় থানার গাংপুরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উড়ালপুলের উপরে।

শক্তিগড় থানার বড়শুলের বাসিন্দা তন্ময় সাঁতরা বুধবার বিকেলে স্কুটি নিয়ে বড়শুল থেকে বর্ধমান যাচ্ছিলেন। গাংপুরে উড়ালপুলে ওঠার পরে আচমকাই মাঞ্জা সুতো গলায় জড়িয়ে যায়। বাইকে ও তাঁর পিঠে থাকা ব্যাগেও সুতো জড়িয়ে যায়। গতিবেগ কম থাকায় তন্ময়বাবু স্কুটি থামিয়ে দিতে সক্ষম হন। মাঞ্জা সুতোয় তাঁর ব্যাগের ফিতে কেটে যায়। তাঁর গলা ও শরীরে চোট লেগেছে। তার সঙ্গে আরও এক বাইক আরোহীও যাচ্ছিলেন। তাঁর বাইকেও সুতো জড়িয়ে যায়। তবে তিনি আঘাত পাননি।

তন্ময়বাবু বলেন, ‘কলকাতায় মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদের এখানেও যে এমন ঘটতে পারে কল্পনাতেই ছিল না। এদিন কপালজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। জাতীয় সড়কে যেভাবে চিনা মাঞ্জা পড়েছিল তাতে গলা কেটে গেলে বা স্কুটি থেকে পড়ে গেলে কী ঘটতো কে জানে। আমি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে পদক্ষেপ করতে বলব। সামনেই পৌষ সংক্রান্তি। ওই দিন বর্ধমান ও সংলগ্ন এলাকায় হয় ঘুড়ির মেলা। আর শীতের শুরু থেকেই শহর ও সংলগ্ন এলাকায় আকাশে ওড়ে রঙবেরঙের ঘুড়ি। আগে মাঞ্জা করা সুতোয় ঘুড়ি ওড়ানো হত। এখন সেই জায়গা নিয়েছে চিনা মাঞ্জা। এই সুতো সাধারণ মাঞ্জা সুতোর থেকে অনেক শক্ত ও ধারালো। ফলে ঘুড়ি কাটার পর সুতো রাস্তায় পড়ে। এর ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

Like Us On Facebook