সপ্তম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীকে জোর করে উত্তর প্রদেশের বাদায়ুন জেলার দাতাগঞ্জ থানার সেরসা গ্রামের বাসিন্দা বছর ছত্রিশের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করল ছাত্রীর বাবা, মাসি এবং পাত্র দুর্বেশ জাঠাম সহ মোট ৫ জনকে। ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি থানা এলাকায়।

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ওই নাবালিকা এবং তার মা পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ করেছেন। নাবালিকার মায়ের অভিযোগকেই এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকিদের। জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত বিষ্ণু জানতে পারেন। তারপরই তিনি যোগাযোগ করেন মেমারি ২এর বিডিও অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর সঙ্গে। জানানো হয় মেমারি থানাতেও।

এরপরই স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যা, বিডিও এবং স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে বুধবার রাত্রে মেমারি থানার পুলিশ হাজির হন ওই ছাত্রীর বাড়ি। বিয়ের আসর থেকেই নাবালিকার মায়ের অভিযোগক্রমে গ্রেফতার করা হয় নাবালিকার বাবা সহ নাবালিকার এক মাসিকে। গ্রেফতার করা হয় পাত্র সহ পাত্রপক্ষের আরও ২জনকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ছাত্রীকে তুলে দেওয়া হচ্ছিল পাত্রপক্ষের হাতে। কার্যত মেয়েকে বিক্রি করার দায়ে এদিন গ্রেফতার করা হয় ৫জনকে। এদের মধ্যে নাবালিকার বাবা ও মাসিকে এদিন পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Like Us On Facebook