দ্রুত গতিতে চলা যাত্রীবাহি বাস সামনে থাকা এখটি যাত্রীবাহি ট্রেকারের পিছনে ধাক্কা মারলে গুরুতর জখম হন দুই ট্রেকার যাত্রী। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি তারকেশ্বর রোডে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পারিজাত নগর এলাকায়। স্থানীয় মানুষজন জখম দুই ট্রেকার যাত্রী বিলকিস খাতুন ও সেখ মহসিনকে উদ্ধার করে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাসের ধাক্কায় হাত ও পা ভেঙে মারাত্মক জখম হওয়া ওই দুই ট্রেকার যাত্রীকে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদিন দুর্ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। বেপরোয়া যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা দুর্ঘটনার পরই রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে ঘাতক বাসটি আটকে রেখে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। দিনের ব্যস্ততম সময়ে স্তব্ধ হয়ে যায় এই রুটে সমস্তরকম যান চলাচল। পরে মেমারি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশি আশ্বাসে ঘন্টা দেড়েক বাদ ওঠে অবরোধ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলকিস খাতুনর বাড়ি জামালপুরের দেউলপাড়ায়। সে মেমারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এদিন পরীক্ষা দিতে সে কলেজে যাচ্ছিল। মারাত্মক জখম হওয়ায় সে পরীক্ষা দিতে পারেনি। অপর জখম সেখ মহসিন মেমারির উদয়পল্লি তাতারপুরের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাস ও ট্রেকার পুলিশ আটক করেছে। পলাতক বাসের চালক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন বেলা ১০ টা নাগাদ জামালপুর-মেমারি রুটের একটি যাত্রী বোঝাই ট্রেকার মেমারি যাচ্ছিল। তার পিছনেই দ্রুতগতিতে আসছিল যাত্রীবাহি বাসটি। স্থানীয়রা জানান দিনের ব্যস্ততম সময়ে যাত্রী তোলার জন্য সড়ক পথে নিত্যদিন রেষারেষি করে চলে বাস ও ট্রেকার। এদিন ট্রেকারটির পিছনে ধাওয়া করার সময় বাসটি গতি সামলাতে না পেরে সামনে থাকা ট্রেকারের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় ট্রেকারের পিছনের পাদানিতে দাঁড়িয়ে যাওয়া দুই যাত্রী মারাত্মক জখম হন। রক্তাত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে তারা আর্তনাদ শুরু করেন। এই ঘটনা দেখার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। অবরোধ বিক্ষোভে সামিল বাসিন্দারা জানান প্রাণঘাতি দুর্ঘটনায় এক বছরে পারিজাত নগর এলাকায় পাঁজজনের মৃত্যু হয়েছে। এই রুটে বেপরোয়া যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা ।