অনেক দিন ধরেই রাজ্যের কৃষককূলের পক্ষ থেকে দাবি উঠছিল। বিশেষ করে ধান রোয়া, ধান কাটার মরশুমে শ্রমিক পাওয়াই মুশকিল হয়ে উঠছিল কৃষকদের কাছে। এর আগেও পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকদের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে কৃষিকাজে ১০০ দিনের প্রকল্পকে যুক্ত করার দাবি উঠেছিল। অবশেষে রাজ্যের কৃষককূলের এই দাবি মেনেই এবার কৃষিকাজে ধান কাটা, ধান রোয়া, সেচের কাজের সঙ্গেও এবার ১০০ দিনের প্রকল্পকে যুক্ত করা হতে চলেছে বলে জানিয়ে গেলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

শুক্রবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে ‘একশোয় একশো’ মাসিক পত্রিকার উদ্বোধন করেন সুব্রত মুখার্জ্জী। তিনি বলেন, কৃষির কাজে ১০০ দিনের কাজকে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। দুই থেকে তিন ফসলি জমিতে চাষ হচ্ছে। আর কৃষির এই কাজেও ১০০ দিনের প্রকল্পকে যুক্ত করার জন্য চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, দুই থেকে আড়াই লক্ষ দক্ষ শ্রমিকদের চা বাগান এবং জুট মিলে স্থায়ী চাকরি দিতে পারি। কারণ চা বাগান এবং জুট মিলে লোক পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমিকরা চাবাগান আর জুট মিলে কাজ না করে ১০০ দিনের কাজ করছেন। তাই চা বাগান আর জুট মিলে লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের মজুরীকে আরও বৃদ্ধি করার চেষ্টা চলছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী এদিন বলেন, কখনই গাছের তলায় বসে লাল সুতোর বিড়ি খেয়ে জবকার্ড নিয়ে বাড়ি চলে আসবেন – এটা করবেন না। এটা করলে সমাজের ক্ষতি হবে, রাজ্যের ক্ষতি হবে।

তিনি আরও বলেন,পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা অন্তর থেকে ১০০ দিনের কাজকে গ্রহণ করেছে। তাই গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবাংলা মহাত্মাগান্ধী কর্ম সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পে সেরার তালিকায় রয়েছে। এদিকে, এরই পাশাপাশি এদিন পঞ্চায়েত মন্ত্রী ১০০ দিনের প্রকল্পেই বর্ধমানের বনপাস গ্রামপঞ্চায়েতের মোহনপুর গ্রামে বৃক্ষ পাট্টা ও বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে হাজির হন। এখানে উপভোক্তাদের হাতে বৃক্ষ পাট্টা তুলে দেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। লাগানো হয় ‌কয়েকশো গাছও। গাছ লাগান পঞ্চায়েতমন্ত্রী নিজেও।

Like Us On Facebook