প্রকাশ্য দিবালোকে জনবহুল এলাকায় এক যুবকের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে খুন করার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমানের কামনাড়া মোড় এলাকায়। মৃত যুবকের নাম বিশ্বজিত দাস (২৫)। বাড়ি বিজয়রাম কুঁড়েপাড়া এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার কামনাড়া মোড় এলাকায় বিশ্বজিত দাসের সঙ্গে ধীমান ঘোষ নামে অপর এক যুবকের বচসা শুরু হয়। এই বচসা থেকে বিশ্বজিত দাসকে আচমকাই গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে ধীমান ঘোষ। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রায় ৫০ ফুট দূরে এসে লুটিয়ে পড়ে ছটফট করতে থাকে জখম বিশ্বজিত। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলের কয়েক মিটারের মধ্যেই বর্ধমান ১ নং ব্লক অফিস। এমনকি অদূরেই রয়েছে দেওয়ানদিঘি থানাও। আচমকা এই খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অভিযুক্ত ধীমান ঘোষকে গ্রেফতার করেছে দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি দেওয়ানদিঘি থানার মালকিতা গ্রামে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এদিন আচমকা বিশ্বজিতের গলায় অস্ত্রের কোপ দিয়েই পালিয়ে যায় ধীমান। জানা গেছে, বিশ্বজিত পেশায় গাড়ির চালক ছিল। প্রায় দিনই সে এই কামনাড়া মোড় এলাকায় আসতো। অন্যান্য দিনের মতই এদিন সকালেও সে বিডিও অফিসের এই মোড়ে আসে। অন্যদিকে, ধৃত ধীমান ঘোষের বিরুদ্ধে এর আগে তাঁর বাবাকে কাস্তের কোপ মারার অভিযোগ রয়েছে। যদিও এদিন ঠিক কি কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। খুনের কারণ কি? তা খতিয়ে দেখছে দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ। বর্ধমানের ডিএসপি হেড কোয়ার্টার অতনু ঘোষাল জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে খুনের অব্যবহিত পরেই। তবে খুনের মোটিভ এখনও পরিষ্কার নয়।