আউশগ্রামের দেবশালার তৃণমূল নেতা চঞ্চল বক্সি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২ জন। ধৃতরা অস্ত্র কারবারি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই অস্ত্র কারবারিকে। দু’জনেরই বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে খুনে ব্যবহৃত উদ্ধার হওয়া অস্ত্র তাঁদের কাছেই কেনা বলে স্বীকার করেছেন ধৃতরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ ইনতিয়াজ ওরফে পিন্টু ও মহম্মদ পাপ্পু। বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খন্ডের জামতাড়া জেলার কুন্দাহিট থানা এলাকায় একটি বাড়ি থেকে তাঁদের ধরা হয়। পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই তাঁরা ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছিল বলেই ধারণা তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত আসানুল সহ পুলিশ হেফাজতে থাকা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করার কথা জানতে পারে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে সুপারি কিলারের ফোন নাম্বারও পায়। এমনকি কয়েক লক্ষ টাকায় খুনের রফা হয় বলে জানতে পারে পুলিশ। এরপরই সুপারি কিলারের ফোনের কল লিস্ট যাচাই করে অস্ত্র কারবারিদের ফোন নাম্বার পায়। পুলিশ গতকাল রাতে ধৃত দু’জনের লোকেশন ট্র্যাক করে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র তাঁদের কাছেই কেনা বলে স্বীকার করে। শুক্রবার ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন দেবশালা পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে চঞ্চল বক্সি। তদন্তে নেমে পুলিশ খুনের ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী মনির হোসেন মোল্লা, আসানুল মণ্ডল ও বিশ্বরূপ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। আসানুল ও মনির দেবশালা পঞ্চায়েতের তৃণমুল সদস্য। ধৃত এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আয়ুব খানকে গ্রেফতার করা হয়। আয়ুব আসানুলের সহযোগী। ঘটনার দিন স্থানীয় খবরাখবর সরবরাহ করেছিল আয়ুব। পুলিশ ঘটনায় অস্ত্র কারবারিদের গ্রেফতার করলেও এখনও পর্য্যন্ত সুপারি কিলারদের ধরতে পারে নি। তাঁদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ।